লালুকে মেঝেতে বসতে দেওয়ায় দলে বিক্ষোভ
মোদী-নীতিশ `উঁচু আসনে` আর লালু প্রসাদ যাদব কিনা মেঝেতে বসে! লালুর প্রতি এত বড় `অসম্মান` মেনে নিতে পারছেন না লালুর দলের কর্মী ও অনুগামীরা। `প্রকাশ পর্ব` নামক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এসেছিলেন পাটনার গুরুদ্বারায়। সেখানেই বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ও আরও অনেকের সঙ্গে মেঝেতে বসেছিলেন লালু। কিন্তু কিঞ্চিত দূরত্ব বজায় রেখে পাশাপাশি বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও লালু ও তাঁর ছেলে তথা বিহারের মন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তাঁদের তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য, `ঈশ্বরের দুয়ারে এসে মেঝেতে বসাটাই শ্রেয়।`
ওযেব ডেস্ক: মোদী-নীতিশ 'উঁচু আসনে' আর লালু প্রসাদ যাদব কিনা মেঝেতে বসে! লালুর প্রতি এত বড় 'অসম্মান' মেনে নিতে পারছেন না লালুর দলের কর্মী ও অনুগামীরা। 'প্রকাশ পর্ব' নামক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এসেছিলেন পাটনার গুরুদ্বারায়। সেখানেই বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ও আরও অনেকের সঙ্গে মেঝেতে বসেছিলেন লালু। কিন্তু কিঞ্চিত দূরত্ব বজায় রেখে পাশাপাশি বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও লালু ও তাঁর ছেলে তথা বিহারের মন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তাঁদের তাত্পর্যপূর্ণ মন্তব্য, "ঈশ্বরের দুয়ারে এসে মেঝেতে বসাটাই শ্রেয়।"
তবে মোদীর সঙ্গে এদিন লালু ও তাঁর ছেলে তেজপ্রতাপ মধ্যাহ্ন ভোজন সেরেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নীতিশ কুমারও। মোদী লালুর ছেলের সঙ্গে রসিকতা করেছেন বলেও শোনা গেছে। কিন্তু তা সত্বেও লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের অন্যতম নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিং ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, 'মহাগাটবন্ধন' বা মহাজোট (নীতিশের সঙ্গে) যখন হয়েছে, তখন সকলেরই এক জায়গায় থাকা উচিত নয় কি? যদিও জানানো গিয়েছে যে কে কোথায় বসবে তা ঠিক করেছে গুরুদ্বারা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- গরীবদের অ্যাকাউন্টে টাকার ডিরেক্ট ট্রানজেকশন, বাজেটে চমক থাকতে পারে সরকারের
প্রসঙ্গত, লালু সহ দেশের প্রায় সব বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্বই মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের চরম বিরোধীতা করেছিলেন। একমাত্র নীতিশই লালুকে 'বেকায়দায়' ফেলে মোদীর ওই সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এদিন আবার 'পুরানো বন্ধু' নীতিশের সেই সমর্থনের ঋণ মিটিয়ে দিয়েছেন মোদীও। সকলের সামনে তিনি নীতিশের মদ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করায় দীর্ঘদিনের এনডিএ জোট ছিন্ন করেছিলেন নীতিশ। আর তারপর আবার উভয়ের এই 'কাছে আসা'র চেষ্টা দেখে অনেকেই মনে করছেন তাহলে হয়ত আবার সেই পুরানো দিন ফেরার সম্ভবনা রয়েছে। আর এখানেই নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের গন্ধ পাচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। ভবিষ্যতই বলবে কে কোথায় বসবে।