নিজস্ব প্রতিবেদন: জনাদেশে রাজপাট গিয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন মধ্যপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সকালেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শিবরাজ জনিয়ে দেন, বিজেপির হাতে সংখ্যা নেই তাই সরকার গঠন করার কোনও দাবি তিনি করবেন না। এদিন তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলের কাছে পদত্যাগপত্রও দিয়ে আসেন।



আরও পড়ুন-৬০টি মামলা খেয়েও জিতলেন সেই রাজা সিং-ই


এদিন বেলা গড়াতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন শিবরাজ। দলের সমর্থক, কর্মীদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দেন তিনি। টানা পনের বছর ক্ষমতায় থাকার পর মাত্র কয়েকটি আসনের জন্য এবার ক্ষমতা হাতাছাড়া হয়েছে বিজেপির। ১০৯ আসনেই থেমে গিয়েছে বিজেপির দৌড়।


দলের এই হারের দায় কার? সাংবাদিকদের ওই প্রশ্নের উত্তরে শিবরাজ সিং বলেন, ‘মানুষের এই রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। জোরাল লড়াই হয়েছে। রাজ্যের মানুষকে হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। এই হারের দায় একমাত্র আমার।‘  তিনি আরও বলেন, ‘দলের কর্মী-সমর্করা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন। তার পরেও আমরা হেরেছি। এর দায় আমি এড়িয়ে যেতে পারি না।‘


মধ্যপ্রদেশে হারের একাধিক কারণ খুঁজে বের করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে রয়েছে রাজ্যের দালিত ও পিছড়ে বর্গের ক্ষোভ, অনুন্নয়ণ ও বেকারি, কৃষকদের দুরবস্থা, ত্রাণে দুর্ণীতি, ব্যাপম কেলেঙ্কারির মতো বিষয়। তবে রাজ্য এমন কুড়িটি আসন রয়েছে যেখানে মাত্র হাজার দুই ভোটে হেরেছে বিজেপি।


আরও পড়ুন-কমল নাথ, গেহলত, বাঘেল-ই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী!


ক্ষমতা থেকে সরে গেলেও মধ্য প্রদেশের উন্নয়ণে চৌকিদারের মতো কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন শিবরাজ। তিনি বলেন, রাজ্যে বিরোধীরা এখন শক্তিশালী। আমাদের ওপরে এখন চৌকিদারি করার ভার এসেছে। কোনও কিছু ভুল হলে তা আমরা মানুষের সামনে তুলে ধরব।