দিল্লিতে 'দিদি'গিরি, লোকসভার আগে ব্যালটযুদ্ধে ১৭ দলকে একমঞ্চে আনলেন মমতা

ব্যালট পেপারে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী জোটে ১৭টি দলকে আনতে সক্ষম হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। 

Updated By: Aug 2, 2018, 11:15 PM IST
দিল্লিতে 'দিদি'গিরি, লোকসভার আগে ব্যালটযুদ্ধে ১৭ দলকে একমঞ্চে আনলেন মমতা

নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে গিয়ে লোকসভা ভোটের আগে সম্ভাব্য মহাজোটের প্রথম সোপান করে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট যাতে ব্যালট পেপারে হয়, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। আর এই বিরোধী জোটে ১৭টি দলকে আনতে সক্ষম হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। 

তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, ''ব্যালট পেপারে ভোট নিয়ে সম্মতি জানিয়েছে সবকটি রাজনৈতিক দল। ২০১৯ সালের লোকসভা ব্যালট পেপারে নেওয়ার দাবি জানাব নির্বাচন কমিশনকে। পরের সপ্তাহে কমিশনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে''।   

বুধবার সংসদে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির শিবপাল যাদব, আরজেডি নেত্রী তথা লালুকন্যা মিসা ভারতী, শিবসেনার সঞ্জয় রউত-সহ বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। দশ জনপথে গিয়ে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকও সেরেছেন মমতা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের আগে বিরোধী জোট নিয়ে কথা হয়েছে। ২১ শে-র মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ঘোষণা করেছিলেন। তখনই তিনি বলেছিলেন, ওই সমাবেশে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরও থাকবেন। দিল্লিতে ওই সমাবেশের থাকার জন্য বিরোধী দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সূত্রের খবর, বিরোধী নেতানেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ফাঁকেই বিরোধী নেতানেত্রীদের কাছে মমতা আবেদন করেছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট ব্যালট পেপারে নেওয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে যাওয়া উচিত বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দলকে। এতে বিরোধী দলগুলির ঐক্য আরও বাড়বে বলেও মনে করেন তৃণমূল নেত্রী। তাত্পর্যপূর্ণভাবে, কেন্দ্রে ও মহারাষ্ট্রে বিজেপির শরিক শিবসেনাকেও এই প্রতিনিধি দলে থাকার আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির বিবাদ চলছে। লোকসভা ভোটে একা লড়ার কথা ঘোষণাও করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। সম্প্রতি মুম্বইয়ে গিয়ে মাতোশ্রীতে উদ্ধবের সঙ্গে গোপন বৈঠকও সেরেছেন অমিত শাহ। তবে আসনবণ্টন নিয়ে রফাসূত্র যে মেলেনি, তা অনাস্থা প্রস্তাবে গরহাজির থেকে বুঝিয়ে দিয়েছে উদ্ধবের দল।

পরপর কয়েকটি বিধানসভা ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। ইভিএম হ্যাক করা অসম্ভব বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হ্যাকাথনের ব্যবস্থাও করেছিল তারা। তবে সেই চ্যালেঞ্জে যোগ দেয়নি কোনও দলই। নির্বাচনী ব্যবস্থায় আস্থা বাড়াতে আনতে পুরনো পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে কংগ্রেসও। এবার আর পৃথকভাবে নয়, বরং তৃণমূল নেত্রীর উদ্যোগে একসঙ্গে ব্যালটে নির্বাচনের দাবি জানাতে চলেছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা ভোটের আগে ১৭ দলের জোটই মহাজোটের ভিত্তিপ্রস্তর হতে পারে।   

আরও পড়ুন- অসম পুলিসের মহিলা কনস্টেবলকে শারীরিক নিগ্রহে কাঠগড়ায় তৃণমূল বিধায়ক

  

.