নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে দেশে ফিরল কফিনবন্দি দেহ। দেহ বলা ঠিক হবে না, দেহাংশ। ইরাকের মসুলে আইএস জঙ্গিদের হাতে নিহত ৩৯ ভারতীয় শ্রমিকের দেহাংশ নিয়ে দেশে ফিরলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং। সোমবার দুপুরে কফিনগুলি নিয়ে প্রথমে অমৃতসরে নামে বায়ুসেনার একটি বিশেষ বিমান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৪ সালে ওইসব শ্রমিক ইরাকে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে ‌যান। তার পর থেকে তাদের আর কোনও খবর পাওয়া ‌যায়নি। সরকারও তাদের মৃত বলেও ঘোষণা করেনি। ফলে শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে কয়েক বছর ধরে উৎকন্ঠায় ছিল তাদের পরিবার। অবশেষে ইরাকি সেনার তৎপরতায় উত্তর-পশ্চিম মসুলের বাদমু গ্রামের একটি গণকবর থেকে নিহত শ্রমিকদের দেহাংশ উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন-আসানসোলের ঘটনায় ইস্তফা দিতে চান বাবুল? টুইট ঘিরে জমাট জল্পনা


নিহত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন পাঞ্জাবের ২৭ জন, হিমাচল প্রদেশের ৪ জন, বিহারের ৬ জন ও পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার ২ জন। একজন শ্রমিকের দেহাংশ ফেরানো সম্ভব হয়নি। কারণ ওই শ্রমিকের ডিএনএ ম্যাচ না করায় তার দেহাবশেষ ছাড়তে রাজি হয়নি ইরাকি কর্তৃপক্ষ।  বায়ুসেনার বিশেষ বিমানটি অমৃতসরের পর পাটনা হয়ে কলকাতায় আসবে। হিমাচল প্রদেশের শ্রমিকদের দেহাংশ নিয়ে ‌যাওয়া হবে সড়ক পথে।


পঞ্জাবের মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধু সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, পঞ্জাবের নিহত শ্রমিকদের পরিবারপিছু ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। পাশাপাশি বর্তমানে মাসিক ২০ হাজার টাকা ‌যে পেনশন দেওয়া হচ্ছে তাও চালু থাকবে।


এদিকে, পরিজনের দেহাংশ পাওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষা শুরু হয়েছে নদিয়ায় দুই পরিবারে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে তেহট্ট থানার ইলশেমারি গ্রামের খোকন শিকদার ও ভীমপুর থানার মহাখোলা গ্রামের সমর টিকাদার। সোমবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ বায়ুসেনার বিশেষ বিমানটির কলকাতা বিমান বন্দরে নামার কথা।