Haryana IPS Officer's Case Update: হরিয়ানা IPS আত্মহত্যার ঘটনায় ১৮০ ডিগ্রি মোড়! ভিডিয়োয় ভয়ংকর সব কথা বলে তদন্তকারী অফিসারও নিজেকে করলেন গুলি...

Haryana IPS death case:  হরিয়ানার আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ কুমারের আত্মহত্যার তদন্তের মধ্যেই গোটা ঘটনায় নড়া মোড়। মঙ্গলবার মৃত অফিসারকেই দায়ী করে আত্মঘাতী হয়েছেন হরিয়ানার এএসপি সন্দীপ কুমার। রোহতকের সাইবার সেলে তিনি কর্মরত ছিলেন। সুইসাইড নোটে আইপিএস ওয়াই পূরণ কুমার একজন 'দুর্নীতিগ্রস্ত' অফিসার ছিলেন বলে লিখেছেন সন্দীপ। 

নবনীতা সরকার | Updated By: Oct 14, 2025, 05:23 PM IST
Haryana IPS Officer's Case Update: হরিয়ানা IPS আত্মহত্যার ঘটনায় ১৮০ ডিগ্রি মোড়! ভিডিয়োয় ভয়ংকর সব কথা বলে তদন্তকারী অফিসারও নিজেকে করলেন গুলি...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হরিয়ানার আইপিএস (Haryana IPS Death Case) অফিসার তথা রাজ্যের এডিজি ওয়াই পূরণ কুমারের (ADG Y Puran Kumar) ‘আত্মহত্যা’র (Suicide case) পর পুলিসের একাধিক শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগেই রোহতকের পুলিস (Rohtak Police) সুপার নরেন্দ্র বিজার্নিয়ার বদলি হয়ে গিয়েছে। সেই আবহে এ বার রাজ্য পুলিশের ডিজি শত্রুজিৎ সিংহ কপূরকেও ছুটিতে পাঠিয়ে দিল হরিয়ানা সরকার।

Add Zee News as a Preferred Source

সোমবার গভীর রাতে ডিজিপি শত্রুজিৎকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা রাজীব জেটলি। উল্লেখ্য, বিতর্কের আবহে রোহতকের তৎকালীন পুলিস সুপার বিজার্নিয়াকে বদলি করে দেওয়ার কয়েক দিন পরেই এই ঘটনা ঘটল।

এবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে এই মামলা। বিশাল ট্যুইস্ট এই ঘটনায়। এবার হরিয়ানার রোহতকের সাইবার সেলে কর্মরত একজন এএসআই (ASI) নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। হরিয়ানার আইপিএস অফিসার ওয়াই পূরণ কুমারের আত্মহত্যার তদন্তের মধ্যেই গোটা ঘটনায় নড়া মোড়। মঙ্গলবার মৃত অফিসারকেই দায়ী করে আত্মঘাতী হয়েছেন হরিয়ানার এএসপি সন্দীপ কুমার। রোহতকের সাইবার সেলে তিনি কর্মরত ছিলেন। সুইসাইড নোটে আইপিএস ওয়াই পূরণ কুমার একজন 'দুর্নীতিগ্রস্ত' অফিসার ছিলেন বলে লিখেছেন সন্দীপ। এছাড়াও সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী সন্দীপ কুমার লিখেছেন, নিজের জীবন তিনি 'সত্যের জন্য উৎসর্গ করছেন'। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে তিন পাতার সুসাইড নোট এবং একটি ভিডিয়ো বার্তা উদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, এএসআই সন্দীপ কুমার এডিজিপি ওয়াই পুরন কুমারের মামলার তদন্ত করছিলেন। এবার তিনিও আত্মহত্যা করলেন।

মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এএসআই সন্দীপ কুমার তিন পৃষ্ঠার সুসাইড নোটে আইপিএস পুরন সিং-এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন যে পুরন সিং একজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার। তার বিরুদ্ধে অনেক প্রমাণ রয়েছে। তিনি জাতিগত বিদ্বেষের সুবিধা নিয়ে প্রশাসনকে হাইজ্যাক করেছেন। এবং আমি আমার আত্মবলিদান দিয়ে এর তদন্ত দাবি করছি। সন্দীপ লিখেছেন যে এই দুর্নীতিগ্রস্ত পরিবারকে যেন ছাড়া না হয়। সন্দীপ কুমার অভিযোগ করেছেন যে, ওয়াই পূরণ কুমার একজন 'দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিস' ছিলেন। তাঁর করা দুর্নীতি প্রকাশ পাবে, ফলে গ্রেফতার হতে পারেন তিনি- এই ভয়েই তিনি আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। সন্দীপ কুমারের আরও অভিযোগ যে, আইপিএস অফিসার জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি ব্যবহার করে করুণা আদায়ের চেষ্টা করেছেন।

সুইসাইড নোটে সন্দীপ বলে গিয়েছেন যে, দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে ওয়াই পূরণ কুমারকে বদলি করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সন্দীপ কুমার, ওয়াই পূরণ কুমারের নিরাপত্তা একজন ঠিকাদারের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে ধরেছিলেন। একজন গ্যাংস্টার তাঁকে হুমকি দেওয়ার পর ঠিকাদার ওয়াই পূরন কুমারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ঘুষের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর, আইপিএস অফিসার গোটা ঘটনাকে বর্ণবৈষম্যের রং দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং আত্মহত্যা করে মারা যান।

জানানো হয়েছে যে সন্দীপ লাঠার আদতে জিন্দ-এর জুলাণা গ্রামের লধৌত-এর বাসিন্দা ছিলেন। সন্দীপ লাঠার আরও অভিযোগ করেছেন যে, আজকের সমাজে দুর্নীতি এবং জাতিগত ভেদাভেদ একটি বড় সমস্যা। হরিয়ানায় আইএএস অফিসার এবং ব্যবসা স্তরে দুর্নীতি করে চলেছে।

সহকর্মীদের লাগাতার হেনস্থা ও জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে গত ৭ অক্টোবর নিজের বাড়িতেই সার্ভিস রিভলভার দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন ২০০১ ব্যাচের আইপিএস পূরণ। দীর্ঘ সুইসাইড নোটে পুলিশের আট জন শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ বিস্তারিত লিখে যান তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর তা নিয়ে সরব হয়েছেন পূরণের স্ত্রী অমনীত পি কুমার। ওই পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও দায়ের করেছেন অমনীত। এফআইআরে বিশেষত শত্রুজিৎ এবং বিজার্নিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি তাঁদের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পূরণের পরিবার। জানানো হয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দেহের ময়নাতদন্ত কিংবা সৎকার, কোনও কিছুর জন্যই সম্মতি দেবেন না তাঁরা।

এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিংহ সাইনির কাছে চিঠি লিখে আর্জিও জানিয়েছে পূরণের পরিবার, যাতে অভিযুক্ত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। এর পরেই আইজি-র নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। এডিজি-র মৃত্যুতে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যের পুলিশমহলেও। মঙ্গলবারই পূরণের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল বলেন, ‘‘এই ঘটনায় দেশের দলিতদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তাঁদের বোঝানো হচ্ছে, তুমি যতই সফল হও না কেন, তুমি দলিত হলে তুমি কখনওই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।’’ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা।
 
 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

About the Author

Nabanita Sarkar

সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরামর্শদাতাদাতা হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা। আইন-আদালত থেকে বিনোদন, দেশ থেকে দুনিয়ার হরেক খবরে শেখার চেষ্টা অবিরাম...

...Read More

.