মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা টিডিপির, একজোটে সমর্থন বিরোধীদের
বর্তমানে লোকসভায় কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৪৮জন সাংসদ। অন্যদিকে, এআইএডিএমকে-র হাতে রয়েছে ৩৭জন। এছাড়াও, টিডিপি-র ১৬, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও সিপিআইএম-এর হাতে রয়েছে ৯ জন করে এবং এআইএমআইএম-এর রয়েছে একজন সাংসদ। এদিকে, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৩৪। এই পরিস্থিতিতে যদি তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীজোটকে সমর্থন করে, তাহলে রীতিমতো চাপে পড়তে চলেছে মোদী সরকার বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে নিজেদের দাবি আদায়ে না-খুশ টিডিপি নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিল, অন্যদিকে এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা আনতে একজোট হল বিরোধীরা। শুক্রবার এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি। সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে কার্যত একযোগেই সমর্থন জানায় বিরোধী দলগুলি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল হৈ হট্টোগোলের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। ফলে এই অবস্থায় রীতিমতো চাপের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ বিভক্ত হওয়ার পর, অন্ধ্রের উন্নয়নে কেন্দ্র যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তাতে খুশি নন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। তার জেরেই এবার এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর দল। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টিডিপির দুই মন্ত্রী। এবার এনডিএ থেকে সরাসরি বেরিয়ে এল টিডিপি। শুক্রবার, নিজেদের অবস্থানের কথা ঘোষণা করা মাত্রই সংসদে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে টিডিপি। কার্যত সঙ্গে সঙ্গেই সেই অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানায় বিরোধীরা। টিডিপিকে প্রথমে সমর্থন জানায় ওআইএসআর। এরপরই সেই তালিকায় যোগ দেয় কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, এআইএমআইএম, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি সহ প্রায় সবকটি বিরোধী দল। এই অনাস্থা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে সংসদে শুরু হয় তুমুল হৈ হট্টোগোল। এরপরই, সোমবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
আরও পড়ুন- টিডিপি এনডিএ ছাড়ার পরও সংখ্যার অঙ্কে স্বস্তিতে বিজেপি
প্রসঙ্গত, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণের জন্য প্রয়োজন ৫০ বা তার বেশি সাংসদের সমর্থন। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা যেভাবে জোটবদ্ধ হয়েছে তাতে কিছুটা হলেও চাপের মুখে রয়েছে মোদী সরকার। ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পর এই প্রথম এনডিএ সরকারে বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিরোধীরা।
বর্তমানে লোকসভায় কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ৪৮জন সাংসদ। অন্যদিকে, এআইএডিএমকে-র হাতে রয়েছে ৩৭জন। এছাড়াও, টিডিপি-র ১৬, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও সিপিআইএম-এর হাতে রয়েছে ৯ জন করে এবং এআইএমআইএম-এর রয়েছে একজন সাংসদ। এদিকে, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৩৪। এই পরিস্থিতিতে যদি তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীজোটকে সমর্থন করে, তাহলে রীতিমতো চাপে পড়তে চলেছে মোদী সরকার বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
ইতিমধ্যেই বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধীদের একজোট হওয়ার পক্ষে বার বার সওয়াল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই মর্মে একটি টুইটও করেছেন তিনি।