নিজস্ব প্রতিবেদন- ১৯৬৪ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী শেষবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তার পর দেশের আর কোনও প্রধানমন্ত্রী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। ৫৬ বছর পর দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী ফের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দাবি করেছেন, ''ভারতে ধর্মের কোনো বিভেদ নেই। ধর্মের নামে এদেশে কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস-এই স্লোগানে এগিয়ে চলেছে দেশ।'' 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ''ধর্ম সমাজের একটি অংশ। তবে একমাত্র দিক নয়। এই দেশের উন্নতিতে কিছু অশুভ শক্তি বাধা দিচ্ছে। কিন্তু বরাবরই আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক মুসলিম সমাজ গঠনের কাজ করেছে। আমাদের সরকার তিন তালাক প্রথা বাতিল করে সেই আধুনিক মুসলিম সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখন মুসলিম মহিলাদের শিক্ষায় বিশেষ নজর দিয়েছে। 2014 থেকে 2020 পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মুসলিম মহিলাকে বৃত্তি দিয়েছে সরকার।''


আরও পড়ুন-  বিশ্বের দরবারে ফের ভারতের জয়জয়কার, আমেরিকার সর্বোচ্চ পুরস্কারে সম্মানিত PM Modi


AMU-এর শতবর্ষর অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ''ভারতের দিকে এখন সারা বিশ্ব চেয়ে রয়েছে। দেশ এখন এমন রাস্তায় এগোচ্ছে, যেখানে প্রতিটি নাগরিক নিজের সাংবিধানিক অধিকার পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত এবং নিশ্চিন্ত। উজ্বলা যোজনার গ্যাস সব ধর্মের মানুষের কাছে পৌঁছেছে। করোনা মহামারীতে সরকারের দেওয়া খাদ্যশস্য সব ধর্মের মানুষ পেয়েছেন। এদেশে ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে বিভেদ হয় না। তাই প্রতিটি নাগরিককে ধর্মের বিভেদ ভুলে দেশের উন্নতিতে অবদান রাখতে হবে। ভারতের সৌন্দর্য ও ব্যাপ্তি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তুলে ধরাটাই ছাত্র ছাত্রীদের কর্তব্য। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে। একই সঙ্গে নিজেদের সম্মান বাড়াতে হবে।''