জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মর্মান্তিক প্রসূতি মৃত্যু (Pregnant woman dies)! ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের (Hazaribagh Jharkhand) শেখ ভিখারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Sheikh Bhikhari Medical College and Hospital) ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। চিকিৎসায় গাফিলতির এক ভয়ংকর নিদর্শন! এক গর্ভবতী মহিলার অপারেশন থিয়েটার (OT) টেবিল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। পারস্পরিক দোষারোপ চলছে। সংশ্লিষ্ট পরিবার এই ক্ষতির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলেছে। অন্য দিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারের দিকে দোষ চাপাচ্ছে। মৃত মহিলা হাজারিবাগের সদর থানা এলাকার কাহানি বাজারের বাসিন্দা।
Add Zee News as a Preferred Source
আরও পড়ুন: Rash Purnima Lucky Zodiacs: রাসপূর্ণিমায় বিরল যোগে কয়েকটি রাশির জন্য অকল্পনীয় ভালো সময়! ভরণী নক্ষত্রে অর্থ, সমৃদ্ধি...
ওটিতে টেবিল থেকে পড়ে
চাঁদনি কুমারী সোমবার রাতে প্রসব বেদনা অনুভব করলে তাঁকে শেখ ভিখারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে ওটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যেখানে তিনি ওটির বেড থেকে মেঝেতে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে জোর করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ফিরে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং হাসপাতালের প্রাঙ্গণ ভাঙচুর করেন।
কার দায়? কার ক্ষতি?
চাঁদনি কুমারী পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের দাবি, ঘটনার সময় অপারেশন থিয়েটারে কোনো ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন না এবং শুধুমাত্র নার্সরাই প্রসবের কাজ তদারকি করছিলেন। পরিবারের এক সদস্য বলেন, ওটিতে যদি ডাক্তার উপস্থিত থাকতেন, তাহলে চাঁদনি এবং তাঁর অনাগত সন্তান কারোরই মৃত্যু হত না! অন্য দিকে, হাজারিবাগের সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, রোগীর অ্যাটেনডেন্টদের (পরিবার বা পরিচারক) অবহেলার কারণেই রোগী মেঝেতে পড়ে যান।
আরও পড়ুন: Explosion at Supreme Court Pakistan WATCH: বধ্যভূমি পাকিস্তান! ভয়ংকর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সুপ্রিম কোর্ট, প্রাণ বাঁচাতে হুড়োহুড়ি...রইল ভিডিয়ো...
ময়নাতদন্তে না
সিভিল সার্জন ড অশোক কুমার বলেন, রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং তাঁর প্রসব হওয়ার কথা ছিল। মাঝখানে, তাঁর অ্যাটেনডেন্টরা তাঁর ঠিকমতো যত্ন নিতে পারেননি। তিনি টেবিল থেকে পড়ে যান। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জোর করে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। যেখানে চিকিৎসার সময় তাঁর মৃত্যু হয়। যদি মহিলার পরিবার তাঁকে না নিয়ে যেতেন, তাহলে হয়তো তাঁর প্রাণ বাঁচানো যেত। সিভিল সার্জন জানান, পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্তের অনুমতি দেননি , মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন। এদিকে, ঘটনার তদন্তের দাবি জোরালো হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)