Pushkar Kumbh: মহাকুম্ভের পরে এবার পুষ্কর কুম্ভ! ১২ বছর পরে বৃহস্পতি মিথুন রাশিতে! অতি বিরল যোগে দলে-দলে ভক্তেরা ছুটছেন ভারতের শেষ গ্রামে...
Pushkar Kumbh Begins at Keshav Prayag after 12 Yrs: উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি জানিয়েছেন, মানা গ্রামে কেশব প্রয়াগে যাওয়ার রাস্তাটিকে সারিয়ে তোলা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার জন্য রাস্তায় একাধিক ভাষায় সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৪৪ বছরের পরের মহাকুম্ভের পরে ফের কুম্ভের গন্ধ বাতাসে। তবে এবার তা সুদূর বদ্রীনাথে। মানা গ্রামের (Mana village) সন্নিহিত কেশব প্রয়াগে (Keshav Prayag) অলকানন্দা-সরস্বতীর সঙ্গমে (confluence of the Alaknanda and Saraswati rivers) এই মহাপুণ্য অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে। যেমন বরাবর হয়ে আসছে। উত্তরাখণ্ডের মানার সীমান্তবর্তী গ্রামের কেশব প্রয়াগে দীর্ঘ ১২ বছর পরে পুষ্কর কুম্ভ (Pushkar Kumbh) শুরু হয়েছে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে। অতি বিরল এবং তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা।
ভারতের শেষ গ্রামে কুম্ভ
এর জেরে মানা গ্রাম এবং এর নিকটবর্তী বদ্রীনাথ ধামে তীর্থযাত্রীদের যাতায়াত বেড়েছে। এবং তা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থাও করেছে সংশ্লিষ্ট প্রসাসন। ভক্তদের সুবিধার্থে জেলা এবং পুলিস প্রশাসন নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। চামোলি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি জানিয়েছেন, দেশের প্রথম গ্রাম এই মানায় কেশব প্রয়াগে যাওয়ার রাস্তাটির উন্নয়ন হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের পথ দেখানোর জন্য সারা রাস্তায় একাধিক ভাষায় সাইনবোর্ডও টাঙানো হয়েছে। এছাড়াও, গোটা রুটে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে, সঙ্গমস্থলে নদীর তীরে SDRF টিম মোতায়েন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানক্ষেত্রে জুড়ে সব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থাপত্র বজায় রাখার জন্য তহসিল প্রশাসনকে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের তরফে।
কী এই পুষ্কর কুম্ভ?
প্রতি ১২ বছর অন্তর গুরুগ্রহ বৃহস্পতি যখন মিথুন রাশিতে প্রবেশ করেন, তখন পুষ্কর কুম্ভের আয়োজন করা হয়। ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসারে, মানা গ্রামের অলকানন্দা এবং সরস্বতী নদীর পবিত্র সঙ্গমস্থল কেশব প্রয়াগে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এই কুম্ভে বৈষ্ণব ভক্তেরাই মূলত আসেন। এবং সারা দেশ থেকে এলেও তাঁরা মূলত আসেন দক্ষিণ ভারত থেকে।
পুষ্কর কুম্ভের ধর্মীয় তাৎপর্য
বলা হয়, মহর্ষি বেদব্যাস কেশব প্রয়াগে তপস্যার সময়েই মহাভারত রচনা করেন। এ-ও বিশ্বাস করা হয় যে, রামানুজাচার্য এবং মধ্বাচার্যের মতো বিখ্যাত দক্ষিণ ভারতীয় দার্শনিক এবং সাধুরা এই জায়গায় দেবী সরস্বতীর কাছ থেকে ঐশ্বরিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। সেই পৌরাণিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই দক্ষিণ ভারত থেকে বৈষ্ণব ভক্তেরা পুষ্কর কুম্ভের সময়ে পবিত্র সঙ্গমে স্নান করতে আসেন এবং প্রার্থনা করেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)