টেপ ফাঁস কাণ্ডের রিপোর্ট চাইলেন রতন টাটা

কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার টেপ ফাঁস সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের গোপন রিপোর্ট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রতন নওল টাটা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জি এস সিংভির নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে টাটার আইনজীবী মুকুল রোহাতগি জানান, আয়কর দফতরের তরফে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে বৈষ্ণবী কমিউনিকেশন-এর কর্ণধার নীরা রাডিয়ার টেলিফোন কথোপকথনের যে গোপন রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা হাতে পাওয়া প্রয়োজন।

Updated By: Feb 2, 2012, 08:50 PM IST

কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার টেপ ফাঁস সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের গোপন রিপোর্ট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রতন নওল টাটা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জি এস সিংভির নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে টাটার আইনজীবী মুকুল রোহাতগি জানান, আয়কর দফতরের তরফে তাঁর মক্কেলের সঙ্গে বৈষ্ণবী কমিউনিকেশন-এর কর্ণধার নীরা রাডিয়ার টেলিফোন কথোপকথনের যে গোপন রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা হাতে পাওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে টেপ ফাঁসের মামলায় সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে আদালতে টেনে আনা সম্ভব হবে।
২০১০ সালে রতন টাটা ঘনিষ্ঠ কর্পোরেট লবিস্ট নীরার টুজি স্পেকট্রাম সংক্রান্ত কয়েকটি টেলিফোন কথোপকথনের টেপ মিডিয়ায় ফাঁস হওয়ার পর প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। সিবিআই-এর তরফে এ রাজা-সহ স্পেকট্রাম কাণ্ডের অভিযুক্তদের সঙ্গে গোপন ব্যবসায়ীক যোগাযোগ ও স্পেকট্রাম বণ্টনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে নীরা রাডিয়াকে একাধিক বার জেরাও করা হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, সিবিআই, আয়কর দফতর এবং কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে নীরা রাডিয়ার ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল।

গত ২৩ নভেম্বর নীরা রাডিয়ার সঙ্গে রাজনীতিক, শিল্পপতি ও সাংবাদিকদের কথাবার্তার গোপন টেপ মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০১০-এর ডিসেম্বর মাসে যাঁদের সঙ্গে রাডিয়ার কথাবার্তার টেপ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তাঁদের মধ্যে ছিলেন রতন টাটাও। ওই টেপের আর কোনও অংশ যাতে প্রকাশিত না হয় সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান টাটা। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, এই টেপ ফাঁসের ঘটনা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের উপর অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ।
মামলার শুনানির সময়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, দু`জন উচ্চপদস্থ অফিসারকে এই বিষয়ে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে টাটার আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি আগে কেন্দ্রকে ওই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো গত মঙ্গলবার বিচারপতি জি এস সিংভি এবং বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ইন্দিরা জয়সিং জানান, মিডিয়ার ফাঁস হওয়া নীরার দূরভাষ আলাপচারিতার টেপের বেশ কিছু অংশ `বিকৃত` করা হয়েছে। এই বিকৃতি এবং টেপ ফাঁসের ঘটনায় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই বলেও দাবি করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। অন্যদিকে টাটাগোষ্ঠীর আইনজীবী মুকুল রোহাতগি এ জাতীয় বিকৃত তথ্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

.