নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের আবহে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারে (NPR) অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ইতিমধ্যেই এনপিআর বাতিলের দাবি তুলেছে বিক্ষোভকারীরা। এনপিআর স্থগিত করেছেন পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল সরকার। বাস্তবতা বুঝে প্রকাশ জাভড়েকর আশ্বস্ত করেছেন, এনপিআরে কোনও নথি দিতে লাগবে না।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই উঠেছে এনপিআর স্থগিত করার দাবি। অনেকের আশঙ্কা, এনপিআরের মাধ্যমে এনআরসি-র রাস্তা প্রশস্ত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। জনগণনার নামে সমস্ত রকম তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সে কথা মাথায় রেখে জাভড়েকর স্পষ্ট করেছেন, বায়োমেট্রিক, নথির কোনও দরকার নেই। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।          



অসম ছাড়া দেশর সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০২০-র ১ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আদমসুমারি করার কথা। জনগণনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৮,৭৫৪.২৩ কোটি। এনপিআর আপডেট করার জন্য ৩,৯৪১.৩৫ কোটি টাকা খরচ পড়বে।   



প্রতি ১০ বছর অন্তর ভারতে জনগণনা করা হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। এখনও পর্যন্ত সাধারণ মানুষ শুধু তথ্যই দেন। ভোটার কার্ড বা আধার দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। ২০২১ সালে এনপিআরের জন্য মঙ্গলবার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু এবার জনগণনা নিয়ে জমেছে শঙ্কার পাহাড়। মূল কারণ এনআরসি। দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জি চালুর ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের আশঙ্কা, এনপিআরের অছিলায় আদতে নাগরিকপঞ্জির তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করতে চলেছে সরকার। এনপিআর-ও প্রত্যাহার করার দাবি করেছে তারা। 


আরও পড়ুন- ‘কারও দেশ ছিনিয়ে নেওয়া হবে না, মুসলিমদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে বলে রটাচ্ছে কংগ্রেস-নকশালরা’