উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের ৪ মামলা লখনউ থেকে দিল্লিতে সরাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট
সিবিআই অফিসারদের বেলা ১২টার মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা আদিত্যনাথ সরকারের। উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের ৪ মামলা লখনউ থেকে দিল্লিতে পাঠাচ্ছে শীর্ষ আদালত। অর্থাত্ লখনউয়ে উন্নাওয়ের মামলায় অভিযোগকারীরা যে নিরাপদ তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল। মামলায় বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার জড়িয়ে যাওয়ায় তা আরও জোরাল হয়েছে।
উন্নাওয়ের নির্যাতিতা একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হওয়ার পর এনিয়ে সক্রিয় হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রাণনাশের আশঙ্কা করে নির্যাতিতার একটি চিঠি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে এসে পৌঁছেছে ৩০ জুলাই। চিঠিটি লেখা হয়েছিল ১২ জুলাই। কেন ওই চিঠি একটা দেরিতে তাঁর হাতে এল তা রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ফের শুনানি শুরু করেন।
আরও পড়ুন-গত এক বছরে বিজেপির সম্পত্তি বেড়েছে ২২ শতাংশ, ১৫ শতাংশ কমেছে কংগ্রেসের
বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতেই সিবিআই অফিসারদের বেলা ১২টার মধ্যে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশ তিনি উন্নাও ধর্ষণ ও নির্যাতিতার গড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কিত মামলার নথি হাজির করতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তিনি সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে সলিসিটার জেনারেলকে কথা বলতে নির্দেশ দেন।
এদিকে, আদালতের নির্দেশ পেয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা উন্নাও মামলায় তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। আদালতে তিনি জানান, লখনউয়ে সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। কিন্তু ১২টার মধ্যে তাঁদের দিল্লি আসা সম্ভব নয়। এর পরই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে মামলার বিস্তারিত জানাতে।
আরও পড়ুন-আলমারিতে ছিল কয়েক লক্ষ টাকার গয়না-নথি, লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন নেতাজিনগরের বৃদ্ধ দম্পতিকে?
এদিকে, উন্নাও মামলায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্র সিং গত ১৫ জুলাই উন্নাওয়ের জেলাশাসককে একটি চিঠি লিখে নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। জেলা শাসকের কাছে তিনি আবেদন করেন, শীঘ্রই তাঁকে একটি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই একটি দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন মহেন্দ্র সিং। ওই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার ২ কাকীমার। পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা ও ওই আইনজীবী। তারা এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন লখনউয়ের একটি হাসপাতালে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার।