নাগরিকপঞ্জীতে দ্বিচারিতা মমতার, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সমর্থন, তোপ ভিএইচপি-র

এরাজ্যেও নাগরিকপঞ্জীর দাবি করেছেন ভিএইচপি-র পূর্ব ভারতের সংগঠন সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা। 

Updated By: Aug 1, 2018, 09:50 PM IST
নাগরিকপঞ্জীতে দ্বিচারিতা মমতার, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন সমর্থন, তোপ ভিএইচপি-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকপঞ্জী প্রকাশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে দ্বিচারিতা আখ্যা দিয়ে ভিএইচপি-র পূর্ব ভারতের সংগঠন সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ''জ্যোতি বসুর সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ে নাগরিকপঞ্জীর সমর্থন করেছিলেন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়''। 

শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন,''জ্যোতি বসুর জমানায় নাগরিকপঞ্জী চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন অভিযোগ করেছিলেন, অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করছে সিপিএম সরকার। এখন একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য কুম্ভীরাশ্রু ফেলছেন তিনি। অসমের বাসিন্দাদের চেয়েও অনু্প্রবেশকারীদের প্রতি তাঁর দরদ বেশি''। 

এরাজ্যেও নাগরিকপঞ্জীর দাবি করে শচীন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ''বাংলায় নাগরিকপঞ্জী শুরু হলে অসমের চেয়ে বেশি অনু্প্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা যাবে। এটা স্পষ্ট, বাংলায় অনু্প্রবেশকারীদের থাকতে উত্সাহ দিচ্ছে রাজ্য সরকারের তোষণ রাজনীতি। এখানে জিহাদি কাজকর্ম করছে এই অনুপ্রবেশকারীরা''। এর পাশাপাশি শচীন্দ্রনাথ সিনহা স্পষ্ট করেছেন, হিন্দু শরণার্থীদের আশঙ্কার কিছু নেই। তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। 

অসম থেকে বাঙালি খেদানোর অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে শচীন্দ্রনাথ সিনহার ব্যাখ্যা, ''বাংলা ভাষায় কথা বললেই কেউ বাঙালি হয়ে যায় না। এই অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড দেওয়া হয়েছে। তারা লভ জিহাদ ও জমি জিহাদ করে বেড়াচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে এরা। এদের নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে প্রশাসনকে''। 

শচীন্দ্রনাথবাবু আরও বলেন, ''গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ভিএইচপি-র রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে 'ঘর ওয়াপসি' কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন তাঁরা। ইসলাম ও খৃষ্ট ধর্ম যাঁরা নিয়েছেন , তাঁদের স্বর্ধমে ফেরানো হবে''। 

প্রসঙ্গত, আগামী ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যজুড়ে বিশাল আকারে জন্মষ্টমী উজ্জাপন করতে চলেছে ভিএইচপি। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ১০০০টি শোভাযাত্রা হবে। আরও ১০০০টি অনুষ্ঠানেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাতদিন ধরে চলবে উত্সব। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে জন্মাষ্টমীর উজ্জাপন করে ছোট-বড় সংগঠন।  তাদের পাশেও দাঁড়াবে ভিএইচপি। লক্ষ্য, জন্মাষ্টমীর মাধ্যমে সংগঠনের বিস্তার। প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে যেতে চাইছে তারা। শুধু নগর সংকীর্তনই নয়, উত্তর ভারতের ধাঁচে কৃষ্ণ সাজো প্রতিযোগিতা, মহিলাদের ডান্ডিয়া নাচও থাকছে। বিভিন্ন জায়গায় শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন মহিলারাই। ব্যবস্থাপনায় থাকবেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মহিলা শাখা দুর্গাবাহিনীর সদস্যরা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কৃষ্ণ নিয়ে বাঙালির আবেগ কাজে লাগিয়ে ২০১৯ সালের আগে রাজ্যে বিজেপির জমি তৈরি করতে চাইছে ভিএইচপি।

আরও পড়ুন- নাগরিকপঞ্জী নিয়ে শ্যাম ও কূল রাখার চেষ্টায় অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ​ 

.