Deadly love affairs killings: ১৫ থেকে ৩৫ টুকরো! ড্রাম-সিমেন্ট থেকে ফ্রিজ-সেদ্ধ! হাড়হিম ৮ হত্যা, শিউরে উঠেছে গোটা দেশ...

Deadly love affairs killings: হাড়হিম করা মেরঠ হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত, স্তব্ধ গোটা দেশবাসী। তবে এমন ঘটনা প্রথম নয়। ভারতে এর আগেও সম্পর্কের টানাপোড়েনে এমন হাড়হিম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নৃশংসতার ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশবাসী। শুধু ভারতের অন্য রাজ্য নয়, গায়ে কাঁটা দেওয়া হত্যালীলা ঘটেছে বাংলার বুকেও। 

| Mar 22, 2025, 17:06 PM IST
1/8

মনুয়া কাণ্ড

Barasat Manua Case

২০১৭-র ২ মে-র রাতে বারাসতের হৃদয়পুরে নিজের বাড়িতেই স্ত্রী মনুয়ার প্রেমিকের হাতে খুন হন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থায় কর্মরত অনুপম সিংহ। খুনের ১৩ দিনের মাথায় মনুয়া মজুমদার (সিংহ) ও তার প্রেমিক অজিতকে গ্রেফতার করে পুলিস। তদন্তে উঠে আসে অজিতের সঙ্গে মনুয়ার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন হন অনুপম। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় অনুপমকে। খুনের সময় স্ত্রী মনুয়া বাপেরবাড়িতে থাকলেও, প্রেমিক অজিতের মোবাইলে ফোন করে অনুপমের আর্তনাদ 'লাইভ' শোনে সে। জানা যায়, খুনের দিন দুপুরে বাড়িতে একসঙ্গেই ছিল মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিত। পরে মনুয়া বাপের বাড়ি ফিরে গেলেও, অজিত বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল। তারপর অনুপম আসতেই তাঁর উপর চড়াও হয় অজিত।

2/8

কারকালার 'ইনস্টা প্রেম' খুন

Karkala Murder Case

২০২৪-এর অক্টোবরে কারকালা তালুকে একইভাবে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের হাতে খুন হন স্বামী। স্ত্রী প্রতিমা ও তার প্রেমিক দিলীপ হেগদে মিলে ছক কষে খাবারে বিষ মিশিয়ে খুন করে স্বামী, বছর ৪৪-এর যুবক বালাকৃষ্ণকে। বিউটি পার্লারের মালকিন প্রতিমার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে আলাপ হয় দিলীপের। ইনস্টাগ্রামে বিভিন্ন রিলস শেয়ার করতেন প্রতিমা। স্বামীর সঙ্গেই রিলস বানাতেন প্রতিমা। কিন্তু সেই স্বামীকেই 'ইনস্টাগ্রাম প্রেমিকে'র জন্য খুন করে প্রতিমা।

3/8

লিভ-ইন পার্টনারকে খুন, দেহাংশ সেদ্ধ করে কুকুরদের খাওয়ায় প্রেমিক!

Mumbai Murder

২০২৩ সালে মুম্বইয়ের মীরা রোডে লিভ-ইন পার্টনার সরস্বতী বৈদ্যকে খুন করার পর দেহাংশ প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে পথকুকুরদের খাইয়ে দেয় প্রেমিক মনোজ সাহানি। মুম্বইয়ের মীরা রোডের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাতে গিয়ে রান্নাঘরে ৩টি বালতির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। বালতির ভিতরে দেহাংশগুলি পাওয়া যায়। ৩টি বালতির মধ্যে দেহাংশগুলি ভরে রেখেছিলেন অভিযুক্ত প্রেমিক মনোজ সাহানি। খুনের পর প্রথমে ইলেকট্রিক কুঠারের মাধ্যমে সরস্বতীর দেহকে ২০ টুকরো করেন মনোজ। যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়, তার জন্য দেহের উপর বিশেষ তেলও ছড়ান। তারপর রান্নাঘরে বালতিতে ভরে রাখেন দেহাংশ। কিছু দেহাংশ প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে কুকুরদের খাইয়ে দেন।

4/8

বেঙ্গালুরু 'ফ্রিজার' হত্যাকাণ্ড

Bengaluru Freezer Case

২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে ঠিক শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের মতোই একটি ঘটনা ঘটে বেঙ্গালুরুতে। বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতেই নৃশংসভাবে খুন হন ২৯ বছর বয়সী মহালক্ষ্মী। দেহ ৩০টিরও বেশি টুকরো করে ফ্রিজে ভরে রাখা ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল মহালক্ষ্মী। পরিবার তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে না পেরে, পুলিসে জানায়। পুলিস এসে পচাগলা গন্ধ পেয়ে ফ্রিজ খুলতেই উদ্ধার হয় দেহাংশ। বিবাহবিচ্ছিন্না মহালক্ষ্মী একাই থাকতেন বাড়িতে। খুনের ঘটনায় মহালক্ষ্মীর প্রেমিক মুক্তি রঞ্জন রায়ের নাম উঠে আসে। অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন মহালক্ষ্মী, এই সন্দেহেই তাঁকে খুন করে প্রেমিক মুক্তি রঞ্জন। তারপর নিজেও আত্মঘাতী হয়। 

5/8

শ্রদ্ধা ওয়াকার খুন ও '৩৫ টুকরো'

Shraddha Walker Murder

২০২২ -এর ২০ নভেম্বর রাজধানী দিল্লির মেহরৌলির জঙ্গলে উদ্ধার হয় শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহাংশ। হাড়হিম করে সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিস গ্রেফতার করে শ্রদ্ধা ওয়াকারের লিভ-ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুণাওয়ালাকে। জানা যায়, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা-আফতাবের। তারপর ঘনিষ্ঠতা ও লিভ-ইন করতে শুরু করেন দুজনে। কিন্তু সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।  প্রথমে শ্বাসরোধ করে প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করে। তারপর করাত দিয়ে দেহ কেটে ৩৫ টুকরো করে। টুকরোগুলিতে যাতে পচন না ধরে তাই রাসায়নিক মাখিয়ে ফ্রিজে রাখে। মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখতে নতুন ফ্রিজও কিনে আনে। এমনকি ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ডুর সঙ্গে রীতিমতো কথা বলত আফতাব! তারপর ১৮ দিন ধরে মেহরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় সেই দেহাংশ ফেলে সে। সব দেহাংশ আজও উদ্ধার হয়নি।

6/8

দিল্লির কোমল হত্যাকাণ্ড

Delhi Komal Murder

মেরঠকাণ্ডের সমসাময়িক-ই দিল্লির কোমল হত্যাকাণ্ড। ১২ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল কোমল। বেশ কয়েকদিন পর ছাওলা খাল থেকে উদ্ধার হয় কোমলের নিথর দেহ। খুনের দায়ে গ্রেফতার প্রেমিক আসিফ। পুলিস জানিয়েছে, ১২ মার্চ কোমল তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে একটি গাড়িতে করে বেরয়। দুজনের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। সেইসময়ই প্রেমিক আসিফ ও তার বন্ধু মিলে কোমলকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। খুনের পর হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেহ গুরগাঁওয়ের কাছে খালে ফেলে দেয়।

7/8

জয়পুরে 'বস্তাবন্দি' স্বামীকে আগুন

Jaipur Husband Murder Case

মেরঠের ছায়া জয়পুর কাণ্ডেও। ১২ বছরের ছোট প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করে স্ত্রী। তারপর দেহ লোপাট করতে বস্তায় পুরে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। বয়সে ১২ বছরের ছোট ৩০ বছরের দীনদয়ালের দোকানে কাজ করতেন ৪২ বছরের গোপালি দেবী। জড়িয়ে পড়েন পরকীয়া। স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে বাধা দেন স্বামী ধন্নালাল। তা থেকেই খুন। খুনের পর স্বামীর বস্তাবন্দি দেহ প্রেমিকের বাইকে চেপে জঙ্গলে নিয়ে যান স্ত্রী!

8/8

মেরঠ হত্যাকাণ্ড, ড্রামবন্দি '১৫ টুকরো' স্বামী

Meerut Husband Murder

একমাত্র মেয়ের ৬ বছরের জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেবেন বলে লন্ডন থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন মেরঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত। সেটাই তাঁর জীবনের চরম পরিণতি ডেকে আনে। ৪ মার্চ স্ত্রী মুসকান রাস্তোগি ও তার প্রেমিক সাহিল শুক্লা, দুজনে মিলে নৃশংসভাবে খুন করে সৌরভকে। খুনের পর দেহ ১৫ টুকরো করে। তারপর সেই দেহাংশ ড্রামবন্দি করে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দিয়ে, প্রেমিকের সঙ্গে মানালি বেড়াতে চলে যায় মুসকান।  ২০১৬ সালে ভালোবেসেই মুসকানকে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ। কিন্তু ২০১৯-এ মেয়ের জন্মের পর, বাল্যবন্ধু সাহিলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে মুসকান।