কোন কোন থানায় ফি মাসে কত টাকা দিত সারদা? লাল ডায়েরির গোপন কথা ফাঁস দেবযানীর
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধাননগর কমিশনারেটের তত্কালীন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে সারদার সব নথি তুলে দিয়েছিলেন সুদীপ্তর এককালের সঙ্গী দেবযানী। এমনকি প্রচুর নথির মধ্যে বাছাইও করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের কাছে দেবযানী দাবি করেছেন,ফি মাসে থানায় থানায় টাকা পাঠাত সারদা। সেগুলি সব রয়েছে লাল ডায়েরিতে।
সিবিআই-কে দেবযানী জানিয়েছেন, প্রতি মাসে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ১০ হাজার টাকা করে দিতে হত।
বেহালা ও বিষ্ণুপুর থানার 'সেলামি'র অঙ্কটা কয়েকগুণ বেশি। প্রতি মাসে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে এই দুটি থানায় দিতে হত।
শুধু থানা 'ম্যানেজ' করেই কাজ চলত না। পুলিসকর্তাদেরও মাসে আরও প্রায় ৮ লাখ টাকা করে দেওয়া হত।
কোথায় কত টাকা দেওয়া হয়েছে? সিবিআই-কে দেবযানী জানিয়েছেন, সমস্ত খরচাপাতির হিসেবনিকেশ লেখা হত সারদার রোজকার খরচের খাতায়।
বলে রাখি, রোজকার খরচের খাতাটি-ই হচ্ছে সারদার উধাও হয়ে যাওয়া সেই রহস্যজনক 'লাল ডায়েরি'। দেবযানী বলেছেন, "সেই খাতাটি বিধাননগর পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছিল।" কিন্তু সিবিআই সেই খাতা অর্থাৎ 'লাল ডায়েরি' হাতে পায়নি।