ধ্বংসের মাঝেই প্রাণের স্পন্দন, ঝড়-জলের দিনেই ডিয়ার পার্কে জন্ম নিল হরিণশাবক

May 22, 2020, 15:31 PM IST
1/9

মৌপিয়া নন্দী: আমফানের দপটে তছনছ হয়েছে গোটা রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ধ্বংসলীলা, তবে এসবের মাঝেও নতুন প্রাণের ছোঁয়া। ঝড়ের মধ্যেই ঝড়খালি ডিয়ার পার্কে জন্ম হয়েছে এক হরিণ শাবকের। 

2/9

আমফানের প্রভাব সর্বাধিক হয়েছে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তছনছ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝড়খালিও। এমন কোনও রাস্তা বাকি নেই, যেখানে গাছ পড়েনি। মাটি সমেত উপড়ে গিয়েছে আস্ত গাছ। কোথাও আবার ডাল ভেঙে পড়ে রয়েছে। জমি, বাড়ি সর্বত্র ধ্বংসের চিহ্ন স্পষ্ট।    

3/9

সাইক্লোনের পূর্বাভাস পেতেই ক্যানিং থেকে সুন্দরবনের গোসবা, বাসন্তী, ঝড়খালি, সুন্দরবন উপকূল সর্বত্র হয়েছে চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছিল। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ও নদী বাঁধের কাছে বসবাসকারী লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে। 

4/9

STR-এ ক্ষতির কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি। বেশ কিছু শিবির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিছু  শিবির আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ঠিক কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামিকাল আধিকারীকরা এলাকায় পৌঁছলেই সমস্পূর্ণ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। 

5/9

ঝড়ের পর ঝড়খালি চিড়িয়াখানার সারাইয়ের কাজ চলছে। চিড়িয়াখানার পশুপাখিরা নিরাপদেই রয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, ম্যানগ্রোভের কত ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

6/9

সাইক্লোনের তাণ্ডবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তছনছ হয়েছে মহানগর। আপমান ঘূর্ণিঝড়ে ছাড়খার কলকাতা। ভোরের আলো ফুটতেই স্পষ্ট ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা। রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। 

7/9

যা অবস্থা, তাতে কয়েক দিনেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না বলেই ধারণা সকলের। কোথাও ভেঙে গিয়েছে ল্যাম্পপোস্ট। তারের জঙ্গল ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে রাস্তায়। 

8/9

একই ছবি আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও। প্রায় ৪০টি গাছ উপড়ে গিয়েছে সেখানে। যদিও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ঝড়ের মধ্যে সেখানকার পশুপাখির কোনও ক্ষতি হয়নি। তারা নিরাপদেই ছিল। 

9/9

কোমর বেঁধে কাজে নেমেছেন পুরসভা, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। তবে একদিনের মধ্যে তাঁদের পক্ষে আদৌ পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক করা সম্ভব,তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়।