মোবাইল ছাড়া জীবন অচল, জানেন কতটা ক্ষতি করছে আপনার এই সঙ্গী?
পপকর্ন ব্রেন: ক্রমাগত ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে আমাদের মস্তিস্ক পপিং-এর সঙ্গে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন সবকিছু চলে দ্রুত গতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইন্টারনেট, মোবাইল ব্যবহারে অভ্যস্থ হওয়ার পর বাস্তবের ধীর গতির জীবনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে অসুবিধা হয়। একে বলে পপকর্ন ব্রেন।
ডিপ্রেশন: ক্রমাগত টেকনোলজি ব্যবহার করলে তা মানুষের আবেগ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও মনসংযোগের উপরে প্রভাব ফেলে। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উদ্বেগ, ডিপ্রেশন, আত্মহত্যা করার প্রবণতার সঙ্গে মোবাইল, ট্যাব সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের যোগ রয়েছে।
ফ্যান্টম ভাইব্রেশন সিন্ড্রোম: বহুদিন মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে মোবাইল কাছে না থাকলেও মনে হতে পারে এই বুঝি রিং হচ্ছে বা তা ভাইব্রেট করছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুলকানি হলেও মনে হতে পারে মোবাইলটা হয়তো ভাইব্রেট করছে। প্রভাব আসলে পড়েছে মস্তিস্কে।
মনসংযোগ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়: টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়লে কমে যায় মনসংযোগ করার ক্ষমতা। যারা দিনে ৫ ঘণ্টার বেশি অনলাইন থাকেন তারা সহজে কোনও বিষয় মনে করতে পারেন না। মনসংযোগ করার ক্ষমতা ১২ মিনিট থেকে কমিয়ে ৫ মিনিট হয়ে যেতে পারে।
ঘুমের ব্যাঘাত: মোবাইল, ইন্টারনেটের ব্যবহার তৈরি করছে ঘুমের ব্যাঘাত। কমিয়ে দিতে পারে স্মৃতিশক্তিও।
মোবাইল ফোন, ট্যাব, ইন্টারনেট আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। কখনও কখনও মনে হয় এসব ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। কিন্তু এইসব ইলেকট্রনিক গ্যাজেট প্রভাব ফেলছে ধীরে ধীরে। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মানসিক জটিলতা। জেনে নিন এরকমই কয়েকটি বিষয়।