ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণের পরও ভারতে? গাজি নুরকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফিরদৌসের পর বাংলাদেশি অভিনেতা গাজি আবদুন নুরকেও দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ব্যবসায়িক ভিসায় রাজনৈতিক প্রচার চালিয়েছেন নুর। শুধু তাই নয়, তাঁর ভিসার মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভিসার শর্ত ভাঙায় তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট চেয়েছিলেন অভিনেতা ফিরদৌস। বিজেপির অভিযোগের পর বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিবাসন দফতর রিপোর্টে জানায়, ভারতে কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল ফিরদৌসকে। কিন্তু সেই শর্ত লঙ্ঘন করেছেন অভিনেতা। অভিবাসন দফতরের রিপোর্টের ভিত্তিতে ফিরদৌসের ব্যবসায়িক ভিসা বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁকে অবিলম্বে ভারত ত্যাগের নোটিস দেওয়া হয়। কালো তালিকাভূক্তও করা হয় ফিরদৌসকে।
শুধু ফিরদৌস নন, মদন মিত্রের সঙ্গে সৌগত রায়ের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন 'রাণী রাসমণি'র রাজা রাজ চন্দ্রের অভিনেতা গাজি আবদুন নুর। জানা গিয়েছে, এদেশে কাজের অনুমোদনপত্র ছিল দুই বাংলাদেশি অভিনেতার। সেই হিসেবেই ভিসা পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক প্রচারে সামিল হন তাঁরা। গাজি নুরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে বিজেপি।
ফিরদৌসের প্রচারে জামাত-তৃণমূল যোগের অভিযোগ করে এনআইএ তদন্ত চান উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তিনি বলেছিলেন, ''অন্য দেশের নাগরিক কাভীবে দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে? এটা আসলে তৃণমূলের সঙ্গে জামাত-ই-ইসলামির যোগের প্রচার করা হয়েছে''।