মমতার সৌজন্যে ডেলো ও নিজাম প্যালেসে সুদীপ্তর সঙ্গে সাক্ষাত্, বিস্ফোরক মুকুল
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রথম দফার আগে জোরালোভাবে ফিরে এল সারদা কেলেঙ্কারি। কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ময়নাগুড়িতে তার পাল্টা জবাব দেন মমতা। আর বিকেলে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল দাবি করলেন, মমতার সৌজন্যে দুবার সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সুদীপ্তকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না তিনি।
কোচবিহারের সভায় নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, ''রোজ বললেই এখানকার মানুষের কাঁটার কথা মনে পড়ে। নারদমুনি ত্রিলোকে ঘুরে বেড়াতেন। আর এখানে নারদ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। নারদা, সারদা, রোজভ্যালি দুর্নীতিতে আপনার আজীবনের সঞ্চয় লুঠে নিয়েছে। কার সিন্দুকে গিয়েছে? গরিবদের যাঁরা লুঠেছেন, তাঁদের কাছ থেকে হিসেব নেবে চৌকিদার। আপনাদের হিতের জন্য, দেশবাসীকে রক্ষার জন্য তটস্থ রয়েছে চৌকিদার''।
ময়নাগুড়ির সভায় নাম না করে মমতা তোপ দাগেন,''আজকেও দাঁড়িয়ে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নাকি সারদা-নারদার পার্টি। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছেন। ২০১৬ সালে একই কথা বলেছেন। যে লোকটা আপনার সামনে বসে সভা নিয়ন্ত্রণ করছে, সে-ই তো সারদা-নারদার সবচেয়ে বড় অভিযুক্ত।সারদা-নারদার দুটি অভিযোগ রয়েছে ওর বিরুদ্ধে। তাকে পাশে নিয়ে সভা করছেন। এমনকি হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। হাওয়ালা কেলেঙ্কারির নায়ককে নিয়ে মিটিং করছেন''।
বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় আবার নিশানা করলেন নিজের প্রাক্তন নেত্রীকে। বললেন, ওনার সত্ সাহস নেই। তাই আমার নাম উচ্চারণ করতে পারছেন না। নাম উচ্চারণ করলে আইনি লড়াই করতাম।
মুকুল রায়ের বক্তব্য, সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে প্রথম সুদীপ্ত সেনকে দেখি। সুদীপ্ত সেনকে দেখিনি, চিনি না। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দুবার সাক্ষাত্ করেছি। একবার ডেলোয়। একবার কলকাতার নিজাম প্যালেস।
মমতার উদ্দেশে মুকুলের চ্যালেঞ্জ, আমাকে সারদার কোনও ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি থেকে অবসর নেব। প্রমাণ করতে না পারলে উনি কি পারবেন?
সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার আগে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করেছিল সিট। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুকুল রায় বলেন, সিটের তদন্ত দেখাশোনা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে থাকলে কেন সেই সময় আমাকে ডাকলেন না? উনি তো তখন পুলিসমন্ত্রীও ছিলেন।
মুকুল আরও বলেন,''মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য চ্যানেল-খবরের কাগজ এনেছিল সারদা। এসব উল্টোপাল্টা খরচের জন্য সারদা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। হেরে যাবেন বলে মাথায় আর কিছু থাকছে না। হারার ভয়ে উল্টোপাল্টা বলছেন''।