মেদিনীপুর ছয়লাপ মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারে, সভায় অধিকারী পরিবারের না থাকার সম্ভাবনা
নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু প্রসঙ্গে তোলপাড় রাজ্য-রাজনৈতিক মহল। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দলের তরফে তাঁর সঙ্গে বরফ গলানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারপরই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কর্মী সংগঠনের মেন্টর পদ থেকে। এহেন পরিস্থিতিতে নিজের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ সম্বন্ধে এখনও স্পষ্ট করে কিছু ঘোষণা করেননি শুভেন্দু অধিকারী। নিজের অবস্থান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর কৌশলী মন্তব্য়, 'আই অ্য়াম সন অব বেঙ্গল'। এদিকে শুভেন্দু ইস্যুতে জল গত গড়াচ্ছে, ততই জোরালো হচ্ছে তাঁর ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগদানের জল্পনা। কিন্তু তিনি নিজে খোলসা করেননি দলত্যাগ, দলবদল বা অন্য কোনওরকম কোনও সিদ্ধান্ত। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা।
দুই মেদিনীপুরের সকল বিধায়ককে সেই সভায় উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভার দিকে। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। তার আগে এদিন চোখে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর সভা উপলক্ষে চারদিকে সাজ সাজ রব।
গোটা মেদিনীপুর শহরটা কার্যত মুড়ে দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টারে। সেই পোস্টারে কোথাও লেখা, 'মমতার সাথে মেদিনীপুর।' কোথাও আবার লেখা, 'দিদির সঙ্গে মেদিনীপুর', 'একুশেও মমতা', 'মা তুমি আছো তাই, নিশ্চিন্তে আছি আমরা সবাই।' রাস্তায় করা হয়েছে তোরণও।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৈঠকে বসে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেই স্থির হয় একুশের নির্বাচন উপলক্ষে জেলা সফর শুরু করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথম সভাস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মেদিনীপুরকে।
তবে, আগামিকালকের সম্ভাবনায় অধিকারী পরিবারের কারোর না থাকার সম্ভাবনা-ই প্রবল বলে শোনা যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী অসুস্থ। শনিবার তাঁর পায়ে একটি ছোট্ট অস্ত্রোপচার হয়েছে। আগামিকালের মমতার সভাতে তাঁর না থাকার সম্ভাবনা। অন্যদিকে সূত্রের খবর, সভায় থাকছেন না সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। তিনি দিল্লিতে রয়েছেন।