The Billionaire Barber: চুল কেটেই ৪০০ গাড়ি; আছে Rolls Royce-ও!
পরিশ্রম, প্রতিজ্ঞা। এই গল্পের নাম হতেই পারে এই শব্দগুলি দিয়ে। কেননা, এ এমন একজনের গল্প যিনি একেবারে নীচ থেকে একেবারে উপরে উঠেছেন। চরম দারিদ্র্য কাটিয়ে সাফল্যের সিঁড়ি ভেঙে পৌঁছে গিয়েছেন চরম সাফল্যের দিকে।
নাম তাঁর রমেশ বাবু। তিনি এখন 'দ্য বারবার বিলিওনেয়ার' নামে খ্যাত। পেশায় তিনি ক্ষৌরকার। চুল কাটেন। আর চুল কেটেই ৪০০ গাড়ির মালিক। সেই গাড়ির সারণিতে অনায়াসে জায়গা পেয়েছে বিএমডাব্লু, জাগুয়ার, রোলস রয়েসের মতো অভিজাত মোটর ভেহিকেলও!
রমেশবাবু মোটেই রুপোর চামচ মুখে দিয়ে জন্মাননি। তাঁকে শুরু করতে হয়েছে শূন্য থেকেই। তাঁর বাবা পি গোপাল বেঙ্গালুরুতে ক্ষৌরকর্মে যুক্ত ছিলেন। তিনি যখন মারা যান তখন রমেশের বয়স মাত্র ৭ বছর। পৈত্রিক সম্পত্তি বলতে ছিল শুধু বেঙ্গালুরুতে বাবার ওই বারবারশপটুকুই। রমেশের মা তখন সাঙ্ঘাতিক সঙ্কটে পড়লেন। হতদরিদ্র সংসারের জন্য তাঁকে অন্যের ডোমেস্টিক হেল্পারের কাজ নিতে হল। রমেশের মায়ের তখন মাসে মাত্র ৪০-৫০ টাকা রোজগার!রমেশের মা তাঁর স্বামীর কাজ করতে পারলেন না বলে দোকানটি দিনপ্রতি ৫ টাকায় ভাড়া দিয়ে দিলেন। সব মিলিয়ে যতটুকু হত তা দিয়েই খাওয়া-পরা, লেখাপড়া সব। রমেশের ছোটবেলা কেটেছে একবেলা খেয়ে।
রমেশকেও ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে রোজগারে নেমে পড়তে হয়েছিল। বছর তেরোর এক ছেলে রমেশ বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ দিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি দুধও ফেরি করেছেন। এই করেই ক্লাস টেন পর্যন্ত কোনও ক্রমে পড়লেন।
এরপর তিনি ঠিক করলেন আর পড়বে না , বাবার দোকানটিই বরং চালাবেন। দোকানটির নতুন নাম দিলেন ‘Inner Space’। খুব তাড়াতাড়ি এটিকে ট্রেন্ডি স্টাইলিংয়ের এক সাঁলোতে পরিণত করলেন। এই করে করে কষ্ট করে তিনি একটি গাড়ি কিনে ফেললেন। আর ভাড়া দিতে শুরু করলেন। এই করতে করতে জন্ম নিল Ramesh Tours and Travels।
গত তিরিশ বছর ধরে তিনি অনবরত গাড়ি কিনেছেন। আর ব্যবসা বাড়িয়েছেন। ৯০-এর দশকের শেষ থেকে শুরু করে ২০০৪ সালে তিনি ট্য়ুরিজমেই বেশি করে ফোকাস করলেন। ব্যস আর ফিরে তাকাতে হল না। কিন্তু শিকড় ভোলেননি রমেশ বাবু। আজও তিনি কাঁচি আর চিরুনি নিয়ে এসে দাঁড়ান তাঁর সাঁলোয়।