আমেরিকায় থাকেন ছেলে, টালিগঞ্জে ফাঁকা বাড়িতে পড়ে শরীরে পচন ধরল মায়ের!
সৌমেন ভট্টাচার্য: দিন তিনেক ধরে পচা গন্ধটা পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। প্রথমে বিশেষ আমল দিতে চাননি। কিন্তু গন্ধটা আরও প্রকট হতেই উত্সের সন্ধানে লেগে পড়েন টালিগঞ্জের ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের রানি ভবানি রোডের বাসিন্দারা। বুঝতে বেশি সময় লাগেনি গন্ধটা আসছিল সোনারানি দাসের বাড়ি থেকেই। বছর সত্তরের ওই একাকী বৃদ্ধার বাড়ি থেকে গন্ধ আসতেই খারাপ চিন্তাটাই আগে মাথায় এসেছিল প্রতিবেশীদের। খবর দেন পুলিসে।
টালিগঞ্জ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দৃশ্য দেখে গা পাকিয়ে ওঠে দুঁদে পুলিস কর্তাদেরও। বিছানার ওপর পড়ে রয়েছে সম্পূর্ণ পচে যাওয়া একটা লাশ। শরীর থেকে রস নিঃসৃত হতে শুরু করেছে। চামড়া কালো হয়ে খসে পড়ছে। দেখে বোঝবার উপায় নেই, দেহটি আদৌ কার!
স্থানীয়দের অনেকে যাঁরা ঘরে উঁকি মেরেছিলেন, তাঁদের শরীর দিয়ে ক্ষণিকের মধ্যে বয়ে গিয়েছিল হিমস্রোত। এতটাই বীভত্স্য সেই দৃশ্য।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকতেন, তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বছর পাঁচেক আগে। ছেলে থাকেন আমেরিকাতে।
প্রশ্ন উঠছে, এই কয়েকদিনে কি একবারও মাকে ফোন করে খোঁজ নেননি ছেলে। তা না হলে, এইভাবে মায়ের শরীরে পচন ধরে! প্রতিবেশীরাও আফসোস করছেন, যখন বৃদ্ধার দেখা মিলছিল না ঘরের বাইরে, তখন অন্তত একবারের জন্য খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল! আপাতত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস।