Purba Medinipur: এক টুকরো জমিই কাল! স্বেচ্ছামৃত্যু'-র অবস্থায় প্রায় একঘরে হওয়া কৃষক পরিবার...
Egra News: মধ্যযুগীয় বর্বরতা আজও অব্যাহত! আইন, সংবিধানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সামাজিক বয়কট কৃষকের পরিবারকে। চাষের কাজে জল বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিকভাবে বিভিন্ন বয়কট জারি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।
1/6
একঘরে কৃষক পরিবার!

কিরণ মান্না: এ কোন সভ্য সমাজ! অভিযোগে সরব হয়েছে এলাকার মানুষজন। জায়গা সম্পত্তির বিবাদের জেরেই কার্যত সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে এগরা ১ ব্লকের বর্তনা গ্রামের এক পরিবারকে। এমনই অভিযোগ ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বয়কটের জেরে চাষের জমিতে জল পাচ্ছে না দরিদ্র কৃষক পরিবার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তনা গ্রামের ঘটনা।
2/6
একঘরে কৃষক পরিবার!

জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা ছবিরানী মাইতির এক প্রতিবন্ধী বোন মারা যাওয়ার আগে ৫ ডেসিমিল জায়গা বোন ছবিকে দিয়ে যায়। পরবর্তীকালে সেই জমির উপর নজর পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবাশীষ মাইতির। তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা ছবিরানী মাইতির উপর চাপ সৃষ্টি করে ঐ জমির মালিকানা ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আর তাতে রাজি না হওয়ায় চাষ জমিতে জল বয়কটের পাশাপাশি সামাজিক বয়কটের শিকার হতে হয়েছে পুরো পরিবারকে।এমন অভিযোগ আনছেন কৃষক পরিবারের সদস্যরা।
photos
TRENDING NOW
3/6
একঘরে কৃষক পরিবার!

বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, মহকুমা শাসক, জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ছবিরানী মাইতি। এর আগে একবার ব্লক প্রশাসন ও থানার উদ্যোগে উভয়পক্ষকে রেখে আলোচনা করার পরে বয়কট তোলার নির্দেশ দেন বিডিও। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। বরং কিছুদিনের মধ্যে ফের হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে পরিবারকে। এদিন গৃহকর্তৃ ছবিরানী মাইতি বলেন, বহুবার বহু জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি, আমাদেরকে গ্রামের লোকেদের সঙ্গে মিশতে দেওয়া হয় না, চাষের জন্য জল দেওয়া হয় না। এলাকায় মেলা, পূজো-সহ কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেওয়া হয় না। এমনকি যদি কেউ ওই কৃষক পরিবারের সঙ্গে মেলামেশা করে তাকেও গ্রাম থেকে বয়কট করার হুঁশিয়ারীও দেওয়া হয়।
4/6
একঘরে কৃষক পরিবার!

এই সব কিছু হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবাশিস মাইতির আঙ্গুলিহেলনে। এবছর যদি চাষের জমিতে জল না পাই আমরা পুরো পরিবার স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে বাধ্য হব। তবে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্ধেশ্বর বেরা বলেন, বয়কট সংক্রান্ত বিষয়টি গত বছর বিডিও সাহেবের সামনে মীমাংসা হয়ে গেছিল। এই মুহূর্তে কোনো বয়কট নাই। জল না পাওয়ার একটি অভিযোগ ছিল।
5/6
একঘরে কৃষক পরিবার!

কিন্তু বিভাস মাইতি নামের যে ব্যক্তি জমিতে জল দেয় তাঁকে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর শারীরিক অসুস্থতার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা সম্ভব হয়নি। সামনের সপ্তাহে উভয়পক্ষকে রেখে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তবে এই ঘটনায় বিজেপি নেতা তাপস দে বলেন, তৃণমূলের আমলে এর থেকে আসা করা যায় না।
6/6
একঘরে কৃষক পরিবার!

photos