ইতিহাসের সাক্ষী ইতিহাস!
ইতিহাস কথা বলে। কখনও শুনেছেন! চারপাশে যা দেখছেন, ব্যক্তি কিংবা বস্তু- যাই হোক না কেন, তার বয়সের ভারে প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো সময়ও যেন সঞ্চিত হতে থাকে। একদিন তারাই ইতিহাস তৈরি হয়। ভাল করে তাকিয়ে দেখুন, তাদের আয়নায় ধরা দেবে সে সব ‘জলজ্যান্ত’ ইতিহাস। কী, বুঝলেন না তো! তাহলে নিজের চোখেই দেখে নিন।
এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বিশ্ব বিখ্যাত দুই নারী করমর্দন করছেন। বাঁ দিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আর অন্য দিকে মার্কিন অভিনেত্রী মেরেলিন মনরো। এক জন পদাধিকার বলে বিখ্যাত, আর এক জন শিল্পী তথা আবেদনময়ী হিসাবে জনপ্রিয়। ১৯৫৬ সালের এক প্রিমিয়ারে তোলা ছবিটিতে দু’জনেরই বয়স ত্রিশের কোটায়। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে আত্মঘাতী হন মেরেলিন মনরো। দ্বিতীয় এলিজাবেথের এখন বয়স ৯২।
যদিও আজ হ্যারিয়েট বেঁচে নেই। ১৭৫ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার। তবে, আপনি কি জানেন চার্লস ডারউইনকে স্বচক্ষে দেখেছ এই কচ্ছপটি। কচ্ছপটি জন্ম ১৮৩০ সালে। ডারউইন জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮০৯-তে।
জানেন কি মিশরের এই পিরামিড যখন তৈরি হয়, তখনও উলি ম্যামথের অস্তিত্ব ছিল! অবাক হচ্ছেন তাই না!
বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো বৃক্ষ ব্রিসটলকোন আজও দিব্য বেঁচে আছে। ম্যামথ প্রজাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার সাক্ষী থাকে এই গাছ।
১৯৭৭ সালে ফ্রান্সে গিলোটিনে হত্যা তখনও জারি, সে বছর প্রকাশ পায় স্টার ওয়ার ছবি...এখনও তার সিরিজ চলছে।
ব্রিটেনে প্রকাশ্যে ফাঁসির সাজা জারি রয়েছে... সে সময় (১৮৬৮ সাল) ব্রিটেনে চালু হয় পাতাল রেল। তার সাক্ষী বহন করছে আজও।
যে ভাতৃদ্বয়ের হাত ধরে মানুষ ওড়ার স্বপ্ন সার্থক করেছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন অরভাইল রাইট দেখলেন বিমানে করে হিরোসিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু ফেলতে। কি কাকতালীয় না!
চার্লি চ্যাপলিন এবং অ্যাডলফ হিটলার দুজনেই জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৯ সালে। হিটলারের জীবিতকালেই তাঁর চরিত্রে সিনেমা বানালেন চ্যাপলিন। ১৯৪০ সালে ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ সিনেমাটি তৈরি হয়।
প্রখ্যাত চিত্রকার ভ্যান গঘ ‘স্ট্যারি নাইট’ এঁকেছিলেন ১৮৮৯ সালে। সে বছরই তৈরি হয় আইফেল টাওয়ার। দুটো ছবিই অদ্ভুত মিল না!