চায়ের কাপে তুফান? দু`টি পাতা একটি কুঁড়ির জগতে বসন্তের হাওয়া কি বইবে এই মরসুমে...
শীতের শুরু থেকেই প্রতি বছর প্রায় তিনমাস বন্ধ থাকে চা-বাগানের পাতা তোলার কাজ। তখন থেকে মূলত বাগানের পরিচর্যার কাজ করতে দেখা যায় শ্রমিকদের।
চা-বাগানে প্রথম ফ্ল্যাশের পাতা বরাবরই উৎকৃষ্ট মানের হয়। এজন্য সারা বছরের তুলনায় এই পাতার দামও অনেক বেশি থাকে। শীতের শুরু থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল উত্তরবঙ্গের সমস্ত চা-বাগান। তাই এই সময়টাই কাঁচা চা-পাতা উৎপাদনের অন্যতম সময়।
এজন্য প্রথম ও দ্বিতীয় ফ্ল্যাশের পাতার দিকেই নজর থাকে বিভিন্ন চা-বাগান কর্তৃপক্ষের। যদিও শীতের শেষে এবার বৃষ্টি না হওয়ায় পাতা উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে এবার।
তবে চায়ের দাম এবার কী থাকবে, সেদিকেই এখন নজর বাগান কর্তৃপক্ষের।
জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার জীবনচন্দ্র পাণ্ডে যেমন বলেন-- এবছর চা-বাগানের প্রথম ফ্ল্যাশের পাতা খুব ভাল হলেও উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। তবে দাম বেশি পেলে লাভও ভালো হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
আসলে গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় প্রথম ফ্ল্যাশের চা-পাতার উৎপাদন কিছুটা কমল এবার। বসন্তের শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা-বাগানে শুরু হয়েছে প্রথম ফ্ল্যাশের পাতা তোলার কাজ। নতুন মরশুমে পাতার উৎপাদন কমে যাওয়ায় খুব একটা খুশি নন জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বাগান কর্তৃপক্ষ।