আগেভাগে জেনে নিন ২০২৩ সালে আপনাকে ঘর করতেই হবে যেসব প্রযুক্তির সঙ্গে...
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এখন বাস্তব। ২০২৩ সালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ দেখা যাবে। যেমন টুইটার। প্রতিষ্ঠানটিতে হাউসকিপারদের বদলে বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট দিয়ে কাজ চালানোর চিন্তাভাবনা চলছে।
প্রযুক্তিবিশ্বে এ বছরের অন্যতম আলোচিত শব্দ হতে চলেছে মেটাভার্স। এ বছর মেটাভার্স নিয়ে এই আলোচনা আরও বাড়বে। মেটাভার্সের কিছু অংশ আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠবে। মেটাভার্স মূলত ভার্চুয়াল দুনিয়া। এ এমন এক ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল দুনিয়া, যেখানে অনেক মানুষ একসঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারেন।
ওয়েব থ্রি হল ইন্টারনেটকে সম্পূর্ণরূপে বিকেন্দ্রীকরণ করা। এ ক্ষেত্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে অগ্রগণ্য ধরা হয়। নতুন বছরে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে এই ব্লকচেইন প্রযুক্তি। যেমন, এই মুহূর্তে আমরা ক্লাউডে সব কিছু সংরক্ষণ করি। কিন্তু যদি আমরা ডেটা স্টোরেজ বিকেন্দ্রীকরণ করি এবং ব্লকচেইন ব্যবহার করে সেই ডেটা এনক্রিপ্ট করি, তবে আমাদের তথ্য একদিকে যেমন নিরাপদ থাকবে, তেমনই তথ্যে প্রবেশ ও বিশ্লেষণের নতুন উপায়ও তৈরি হবে।
এই ২০২৩ সালে ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তি ও থ্রিডি প্রিন্টিং-য়ের যোগসূত্র তৈরি হবে। ডিজিটাল টুইন হল বাস্তব পণ্যগুলির ভার্চুয়াল সিমুলেশন বা গঠন। নকশাকারী এবং প্রকৌশলীরা ভার্চুয়াল জগতের ভিতরে বাস্তব বস্তুর প্রতিরূপ অবিকল তৈরি করবেন। আর তা করতে গিয়ে তাঁরা ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তিই ব্যবহার করছেন। পরে তা থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে প্রিন্ট করছেন।
জিন এডিটিং এখন আর নতুন বিষয় নয়। তবে নতুন বছরে ডিএনএ পরিবর্তন ঘটিয়ে অনেক বেশি কাজ করবেন বিজ্ঞানীরা। খাবারের অ্যালার্জি রোধ, বিভিন্ন শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধির মতো নানা কাজ করতে দেখা যাবে জিন এডিটিংকে। মানুষের চোখের ও চুলের রং পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলিও জিন এডিটিংয়ের মাধ্যমে করা যাবে।
এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির একটি হল, কার্বন নিঃসরণ কমানো। এর মাধ্যমেই আমরা জলবায়ু সংকট মোকাবিলা করতে পারি। ২০২৩ সালে সবুজ জ্বালানির প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়বে।