কপিল আর ধোনির ম্যাচ থাকলে মিটিংও বাতিল করেছেন ক্রিকেট প্রেমী কালাইনার
করুণানিধির পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে ছিলেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। এরপর সচিন। আর সর্বশেষ চেন্নাই সুপার কিংসের অবিসংবাদী নেতা মহেন্দ্র সিং ধোনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চলে গেলেন তামিল রাজনীতির ‘পিতামহ’। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৯৩ বছর বয়সে কাভেরী হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন মুথুবেলা করুণানিধি। রেখে গেলেন দুই স্ত্রী, ছয় সন্তান-সহ পাঁচ নাতি-নাতনিকে। সঙ্গে রইল তাঁর স্মৃতিও।
মরণের পরও অব্যাহত জয়ের ধারা : কালাইনারের সমাধি মেরিনা সৈকতেই
একাধারে নাট্যব্যক্তিত্ব থেকে স্ক্রিপ রাইটার, অন্যদিকে ডিএমকে প্রধান থেকে তামিলনাড়ুর পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী- এম করুণানিধির শোকগাথায় গা ঘেঁষাঘেঁষি করে জায়গা করে নিয়েছে তাঁর নয় দশকের জীবন। তবে তাঁর যে দিকটা জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও অক্ষিগোচরেই থেকে গিয়েছে, যা একেবারেই আলোড়নে আসেনি, সেটা হল কালাইনারের ক্রীড়াপ্রেম। বিশ্বজয়ী ভারতীয় দাবাড়ুর প্রতি তাঁর স্নেহের কথা নিজেই জানিয়েছেন বিশ্বনাথ আনন্দ। এবার সামনে এল তাঁর ক্রিকেট প্রেমের কথাও। করুণানিধির পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে ছিলেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। এরপর সচিন। আর সর্বশেষ চেন্নাই সুপার কিংসের অবিসংবাদী নেতা মহেন্দ্র সিং ধোনি। ‘থালা’ ধোনির খেলা থাকলে নাকি মিটিং পর্যন্ত বাতিল করেছেন করুণানিধি। শেষ জীবনে যে কটি বই তিনি পরেছেন তার মধ্যে রয়েছে সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’।
‘খুশি হয়ে দাবা উপহার দিয়েছিলেন’, করুণানিধির প্রয়াণে স্মৃতি রোমন্থন আনন্দের
মাস কয়েক আগেও নিজের পুতির (নাতির ছেলে) সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় এম করুণানিধিকে। তাঁর ক্রিকেট প্রেমের কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন বিসিসিআই এন শ্রীনিবাসনও। তবে এসবই এখন অতীত। সূর্য যত ঢলছে, ততই অস্তাচলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণামূর্তি। কোটি কোটি অনুরাগীর জনস্রোত সাতরে করুণানিধি চলে যাচ্ছেন শেষ শয্যায়। চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকতেই সমাধিস্থ করা হবে কালাইনারের নিথর দেহ। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত থাকবেন তিনি।
‘আমার নেতা, আমি কি তোমাকে শেষবার বাবা বলে ডাকতে পারি’?
উল্লেখ্য, জি নিউজ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী করুণানিধির শেষকৃত্যে সামিল হতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।