PR Sreejesh: শ্রীজেশের বাবা গরু বিক্রি করে ছেলেকে গোলকিপিং কিট কিনে দিয়েছিলেন!
এই অলিম্পিক্সে `দ্য ওয়াল` হয়ে উঠেছেন পিআর শ্রীজেশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গ্রেট ব্রিটেনকে ৩-১ উড়িয়ে ৪১ বছর পর অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারতীয় পুরুষ হকি দল। ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক্সে শেষবার ভারত সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। তারপর টোকিওতে শেষ চারে এসেছিল ইন্ডিয়া। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মঙ্গলবার বেলজিয়ামের কাছে ৫-২ হেরে সোনা-রুপোর আশা শেষ হয়ে যায় ভারতের। তবে ব্রোঞ্জের আশা জিইয়ে রেখেছে 'মেন ইন ব্লু'।
মনপ্রীতের স্কোয়াডে এই অলিম্পিক্সে 'দ্য ওয়াল' হয়ে উঠেছেন পিআর শ্রীজেশ। কোচির বছর পঁয়ত্রিশের গোলকিপারের অসাধারণ কিছু সেভেই ভারত সেমিফাইনালে উঠেছিল। আজ পিআর শ্রীজেশ নিজেই একটা নাম। তাঁর বিশ্বস্ত স্টিক প্রতিপক্ষের বহু আক্রমণ অনায়াসে বানচাল করে দেয়। তবে ভারতীয় দলের মহাতারকার বেড়ে ওঠার লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না।
শ্রীজেশের বাবা পিভি রবীন্দ্রন এক সাক্ষাৎকারে শ্রীজেশকে বড় করে তোলার কাহিনিটা বলেছেন। রবীন্দ্রন বলেন, “আমি বা আমারা পরিবার নয়, গোটা পাড়াই শ্রীজেশের জন্য গর্বিত। গ্রামে থাকার জন্য আমাদের হকির সঙ্গে সেভাবে আমাদের আয়ত্তের মধ্যে ছিল না। তবে শ্রীজেশ তিরুঅনন্তপুরমের জিভি রাজা স্পোর্টস স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরেই ওর জীবনে হকি ঢুকে গেল। তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।"
আরও পড়ুন: Tokyo 2020: Kamalpreet কে সাফল্যের মন্ত্র দিয়ে হৃদয় ছুঁয়ে নেওয়া টুইট Sachin এর
শ্রীজেশের বাবা জীবন সংগ্রামের প্রসঙ্গে বলেন, “আমি একজন সাধারণ কৃষক ছিলাম। সেভাবে উপার্জন করতাম না। শ্রীজেশ যখন ছোট ছিল তখন একটা গোলকিপিং কিটের দাম পড়ত ১০ হাজার টাকা। যা আমাদের কেনার সামর্থ ছিল না। কিন্তু যেভাবে হোক নিজেদের গোরু বিক্রি করে শ্রীজেশের জন্য গোলকিপিং কিট কিনতে পারি।”
আরও পড়ুন: PM Modi: 'জেতা-হারা জীবনেরই অঙ্গ'! টুইট মনপ্রীতদের জন্য 'গর্বিত' প্রধানমন্ত্রীর
টোকিওতে এদিন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে জার্মানি। তাঁদের মধ্যে যে হারবে তারসঙ্গে খেলবে ভারত। ব্রোঞ্জ জয়ের লড়াইয়ে নামবে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীজেশের দিকেও চোখ থাকবে সকলের।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)