India Pakistan War: ভারত-পাক যুদ্ধের জের, প্রায় ১৮০০ কিমি দূরে সরল লিগ, চরম দুশ্চিন্তায় বিদেশিরা...

PSL moved to UAE amid India Pakistan War: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে পাকিস্তান সুপার লিগ সরল ১৮০০ কিলোমিটার দূরে। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগও স্থগিত হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

Operation Sinddor Day 3: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেওয়া শুরু করেছে ভারত। বুধবার মাঝরাত থেকে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করা শুরু করেছে। চলছে সামরিক অভিযান 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor)। ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন না করেই নিখুঁত লক্ষ্যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়েছে ভারতীয় সেনা। 'অপারেশন সিঁদুর চলছে...গত বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের একাংশে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। যদিও পাকিস্তানের মোট ৩০টি মিসাইল গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। একটিও ভারতকে স্পর্শ করতে পারেনি। হামলা পালটা হামলায় ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL) বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল!

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হামলা

গতকাল পাকিস্তানের গর্বের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (Rawalpindi Cricket Stadium) ড্রোন হামলা হয়েছে। রাত আটটা থেকে এই স্টেডিয়ামেই পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচে পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল। ড্রোন হামলায় রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের একাংশ ভেঙেও পড়েছিল। ফলে ম্যাচ বাতিল হয়ে তা করাচি স্টেডিয়ামে চলে গিয়েছিল। এরপরই পিসিবি জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেছিল পিএসএল চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। তবে খেলা হবে। তবে পাকিস্তান থেকে এই লিগ সরে গেল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। টুর্নামেন্টের বাকি আট ম্যাচ হবে মরুদেশেই। পাকিস্তান থেকে যা প্রায়  ১৮০০ কিমি দূরে। পিসিবি জানিয়েছে যে, বাকি ম্যাচগুলির সংশোধিত তারিখ এবং ভেন্যু যথাসময়ে নিশ্চিত করা হবে। তবে এই লিগে বেশ কিছু বিদেশি ক্রিকেটাররা রয়েছেন। তবে তারা ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতিতে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

ভারত বনাম পাকিস্তান

অপারেশন সিঁদুরের তৃতীয় দিনেও পাকিস্তান সক্রিয়। জম্মু -কাশ্মীর, পঞ্জাব এবং রাজস্থানের বেসামরিক ও সামরিক এলাকা লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি কামান নিক্ষেপ করে। ভারত স্পষ্ট করে বলেছে যে তাদের হামলা কেবল সন্ত্রাসী অবকাঠামোর উপর সীমাবদ্ধ ছিল এবং সামরিক স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে করা হয়নি। প্রতিক্রিয়ায়, ভারত তার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে, আগত হুমকিগুলিকে প্রতিহত করে এবং একটি এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (AWACS) সহ বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করে। কটি ড্রোন জম্মু সিভিল বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে। রাজৌরি জেলা এবং জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গিয়েছে। ৭-৮ মে রাতে এক উল্লেখযোগ্য পাল্টা আক্রমণে, ভারতীয় সেনা লাহোরে এক চিনা তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয় বলে জানা গিয়েছে।