গাড়ি হারিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর! ``খুঁজতে সাহায্য করুন``, আর্জি ক্রিকেট ঈশ্বরের
গ্যারাজে গেলেই সচিন এখন অনেক দামি গাড়ি দেখতে পান। তবে সেগুলির মাঝে এখনও তিনি নিজের জীবনের প্রথম গাড়িটি মিস করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- অনেক পুরনো জিনিসের প্রতি মায়া জড়ানো থাকে। জিনিস খুব পুরনো হলে তাঁর সঙ্গে স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে অনেক বেশি। আর সেই স্মৃতিবিজড়িত হয়ে মানুষের মন খারাপ করে। সচিন তেন্ডুলকরের যেমন হয়েছে। বহুপুরনো একটি গাড়ির জন্য তাঁর মন খারাপ। আসলে জীবনের প্রথম গাড়ি ছিল সেটি। আর হঠাত্ করেই সেই গাড়িটির প্রতি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি। এমনিতে মাস্টার ব্লাস্টারের গ্যারাজে গাড়ির অভাব নেই। একের পর এক দামি গাড়ি সেখানে সাজানো রয়েছে। তবে জীবনের প্রথম গাড়ির মায়া এখনো তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আর সেই গাড়ি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন। তাই মনটা বেশ খারাপ।
গ্যারাজে গেলেই সচিন এখন অনেক দামি গাড়ি দেখতে পান। তবে সেগুলির মাঝে এখনও তিনি নিজের জীবনের প্রথম গাড়িটি মিস করেন। সচিনের জীবনের প্রথম কেনা গাড়িটি ছিল মারুতি ৮০০। সেই গাড়ি এখন আর তাঁর কাছে নেই। গাড়িটি এবার তিনি ফিরে পেতে চাইছেন। আর তাই নিজের অনুগামীদের কাছে গাড়িটি খুঁজে দেওয়ার আবেদন করেছেন সচিন। এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, ''গাড়িটি আর আমার কাছে নেই। তবে ওটাকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনতে পারলে আমার খুব ভাল লাগবে। তাই আপনারা যারা আজ আমার কথা শুনছেন তারা এই গাড়িটের খোঁজ পেলে নিসঙ্কোচে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।''
আরও পড়ুন- দাবিদ্র ওয়ার্নারবলি! ডেভিড ওয়ার্নারের নতুন নাম দিলেন ভক্তরা
গাড়ির প্রতি সচিনের দুর্বলতা অনেকদিনের। কিন্তু কী করে এই দুর্বলতা জন্মাল! সচিন বলছিলেন, ''অনেকদিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে একটা বিশাল ওপেন ড্রাইভ মুভি হল ছিল। সেখানে লোকজন গাড়ি পার্ক করে সিনেমা দেখত। আমি আর দাদা বারান্দায় দাঁড়িয়ে গাড়ি দেখতাম তখন। সেই থেকেই আমার গাড়ির প্রতি টান।'' সচিন এদিন অনেক পুরনো স্মৃতি তুলে ধরছিলেন। এই যেমন প্রথমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমে ঢোকার কথা বলছিলেন তিনি। সচিন বললেন, ''আমি তখন বল বয় হিসেবে প্রথমবার ড্রেসিংরুমের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। লক্ষ্য করছিলাম, ক্রিকেটাররা ম্যাচের আগে কী কী করে! হঠাত্ করে সুনীল গাভাসকরের আমাকে ডাকে। সেই প্রথম মুম্বইয়ের ড্রেসিং রুমে ঢোকার সুযোগ পাই। আমার স্পষ্ট মনে আছে, সানি ভাই ঘরের ডানদিকে একদম শেষ বেঞ্চে বসে ছিলেন। আচমকা তার ডাক পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর অনুভূতি হচ্ছিল আমার মধ্যে। এরপরে মুম্বইয়ের হয়ে রনজি ট্রফির ম্যাচ খেলার সময় আমিও ওই বেঞ্চেই বসেছিলাম।''