প্রসাদের খিচুড়িতে বিষ মিশিয়ে `খুন` ১৫টি কুকুর ছানা
চন্ডিতলার মধ্যপাড়া ও পান পাড়া মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫টি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ রাতে দুষ্কৃতীদের অসামাজিক কাজে সমস্যা হওয়াতেই নির্মম ভাবে কুকুরকে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: NRS কাণ্ডের ছায়া এবার চন্ডীতলায়। ভোগের খিচুড়ির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলা হল কুকুর ছানাদের। বিষ খাইয়ে প্রায় ১৫টি কুকুর মারার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির চন্ডীতলা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কেউ বা কারা সরস্বতী পুজোর খিচুড়ির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে সেই খিচুড়ি খেতে দেয় পাড়ার কয়েকটি কুকুর ছানাদের।
আর তাতেই চন্ডিতলার মধ্যপাড়া ও পান পাড়া মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৫টি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ রাতে দুষ্কৃতীদের অসামাজিক কাজে সমস্যা হওয়াতেই নির্মম ভাবে কুকুরকে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে। গত বছরও একই ভাবে এলাকায় কুকুরের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, এই কাজ যে করেছে তাদের শাস্তি হোক। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগেও একাধিকবার কুকুর হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। কখনও এনআরএস, কখনও কালীঘাট। বারংবার প্রকাশ্যে এসেছে পৈশাচিক আচরণ।
আরও পড়ুন: মদ্যপ বাবার হাতের গুলিতে মৃত্যু চার বছরের শিশুর
২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে পিটিয়ে খুন করা হয় ১৬টি কুকুর ছানাকে। প্যাকেট বন্দী অবস্থায় পাওয়া যায় ১৬ টি কুকুর শাবকের দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকাশ আসে নির্মম তথ্য। দেখা যায়, ১৪টি কুকুরছানার লিভার ফেটে গিয়েছে! দু’টি কুকুরছানার খুলিতে গুরুতর আঘাত। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু কুকুর ছানাগুলির। যদিও কুকুর ছানাদের শরীরে বিষ মেলেনি। ঘটনায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে কুকুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই ছাত্রী মৌটুসি মণ্ডল এবং সোমা বর্মণকে দু-মাসের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে সাসপেন্ড করেন কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তদের নিয়ে তদন্ত চলাকালীন তাঁরা কীভাবে ক্লাস করছিলেন, তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন শহরের পশুপ্রেমিরা।
এরপর ওই একই বছর কুকুরকে গুলি করে খুন করে এক শিক্ষানবীশ শুটার। জানা যায় রাইফেল শুটিং শিখছিলেন অভিযুক্ত। তেমনই একদিন গুলি চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় তিনি গুলি করে খুন করে রাস্তার এক কুকুরকে। গুলি করা হয় কুকুরের মাথায়। কুকুর খুনে কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় এক বৃদ্ধা।
এরপরেও একাধিকবার এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তবু টনক নড়েনি কারও। আবারও হুগলির চন্ডীতলা এলাকায় এমন ঘটনায় কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন পশুপ্রেমীরা।