চম্পক দত্ত: গরমে স্কুলে চালু ওয়াটার বেল বা জলঘন্টা,ঘন্টা বাজলেই জল পান করছে ছাত্র-ছাত্রীরা। তীব্র গরমে পড়ুয়াদের জলকষ্ট মেটাতে এবং অসুস্থতা ঠেকাতে চন্দ্রকোনার স্কুলের অভিনব উদ্যোগ।
তীব্র গরমে জলপান নিশ্চিত করতে স্কুলে চালু হয়েছে জলঘন্টা। নির্দিষ্ট সময়ে ঘন্টা বাজলে পড়ুয়ারা ঢকঢক করে জল পান করছে। ঘন্টায় ঘন্টায় প্রতি ক্লাসের শেষে বা মাঝে ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজছে। ব্যাগের মধ্য থেকে জলের বোতল বের করে জল পান করছে। এই গরমে ছাত্র-ছাত্রীদের বারে বারে জল খাওয়াতেই এমন ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: Smart Meter Protest: 'স্মার্ট মিটার বাতিল করে বিদ্যুতের দাম কমাও', কাটোয়ায় আন্দোলন...
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর শশীভূষণ নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে চালু হয়েছে 'ওয়াটার বেল'। হাঁসফাঁস গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে বাংলার। রাস্তায় চাঁদিফাটা রোদ,ঘরে থাকলেও গুমোট গরম, তাপপ্রবাহের জেরে স্কুলে হাঁসফাঁস অবস্থা পড়ুয়াদেরও। অনর্গল ঘামের জেরে শরীর জল শূন্য হয়ে যাচ্ছে। প্রখর রোদ আর দাবদাহে শরীর যেন নিংড়ে নিচ্ছে। এহেন আবহাওয়ায় ডিহাইড্রেশনে ভুগছে বাচ্চা থেকে বড়রা।
ডাক্তাররা পরামর্শ দিচ্ছেন বেশি করে জল খেতে। বাচ্চারা ঠিকমত জল খাচ্ছে কিনা তার নজরদারি করতেই চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর শশীভূষণ নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের স্কুল কর্তৃপক্ষ আসরে নেমেছে। চালু করেছে ওয়াটার বেল বা জলঘন্টা। ঘন্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাগ থেকে বোতল বের করে ঢক ঢক করে জল খাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Birbhum: নাতির অত্যাচারে দিদার মৃত্যু! শরীরে একাধিক আঘাত, চামড়াও... খোলা মাঠেই...
চতুর্থ শ্রেণীর একজন ছাত্র শুভজিত্ গাঙ্গুলি বলেছে, 'আমরা জল খেতে ভুলে যাচ্ছি, আর এই জলঘন্টা পড়ায় খুবই সুবিধা হয়েছে আমাদের, জল খেতে আর ভুল হচ্ছে না।'
স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, 'এই গরমে স্কুলে যাতে পড়ুয়ারা অসুস্থ না হয়ে পড়ে, শরীরে জলের চাহিদা যাতে স্বাভাবিক থাকে তারজন্যই এই অভিনব উদ্যোগ। এই উদ্যোগের ফলে জল খাচ্ছে বাচ্চারা। আর আমাদের এখানে যা গরম পড়ে তাতে প্রচুর ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তার আমরা এই জলঘন্টার ব্যবস্থা করেছি। বাচ্চারা খুবই চঞ্চল হয়। তারা জল খেতেও ভুলে যায়, এই জলঘন্টার ফলে তারা আর জল খেতে ভুলে যাবে না।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)