নিজস্ব প্রতিবেদন: এ বছরটি বিশ্বভারতীর শতবর্ষ চলছে। সেই লগ্নকে স্মরণ করতে একটি video documentation তৈরি করা হচ্ছে। নাম 'শিক্ষাতীর্থ'। সেই ভিডিয়োয় বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরা তাঁদের আলমা-মাটার শান্তিনেকতন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন। তাঁদের কথার মধ্যে দিয়েই পিরে দেখা গিয়েছে অতীতের সেই শান্তিনিকেতনকে। বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে এটি তৈরি করা হয়েছে। ১২ জুন এটি অনলাইনে প্রকাশিত হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (rabindranath tagore) বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫১ সালে এটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। বিশ্বভারতীর শতবর্ষে এস.পি.সি ক্রাফট ও মোহরবীথিকা অঙ্গনের  উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের কর্মযজ্ঞের প্রতি অর্ঘ্য এই ভিডিয়ো ডকুমেন্টেশন-- 'শিক্ষাতীর্থ'।


আরও পডুুন: আকারে বেশ ছোট, জলপাইগুড়িতে উদ্ধার বিরল প্রজাতির সাপ


মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১ টাকা দিয়ে  বোলপুরে জমি কেনা দিয়ে যার প্রারম্ভ। প্রথমে 'শান্তিনিকেতন' (santiniketan) নামের গৃহনির্মাণ এবং সেই বাড়ি ধীরে ধীরে মহীরুহ হয়ে ওঠার কথা। বিবিধের মাঝে এক মহান মিলন। ধীরে ধীরে শান্তিনিকেতন ভিন্ন দেশের, ভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতির মিলন ক্ষেত্র হয়ে ওঠার উপাখ্যান। এখানেই খুঁজে নেওয়া রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রতিমা দেবীর অবদান। জেনে নেওয়া শ্রীনিকেতনের কথা, কৃষিবিদ্যার প্রয়োজনীয়তার কথা। বসন্ত উৎসব, বৃক্ষরোপণ, হলকর্ষণ অনুষ্ঠানের সংস্কৃতি কী ভাবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বভারতীকে আলাদা করে রাখে।  বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন এবং রথীন্দ্রনাথ  ঠাকুরের পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এবং আলোচনা। জানা যায় এই বিশ্বভারতীর ধীরে ধীরে তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতির আখ্যানও। 


এই সমস্ত বিষয়ে তঁদের নিজস্ব  বক্তব্য রেখেছেন  সুপ্রিয় ঠাকুর, বীথিকা মুখোপাধ্যায়, প্রমিতা মল্লিক, শর্মিলা রায় পোমো, মার্টিন কেম্পশেন, বাসবী ফ্রেজার, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রোদয় ঘোষ, ডঃ পবিত্র সরকার এবং নানান দেশে ছড়িয়ে থাকা সেখানকার গুণী  প্রাক্তন- প্রাক্তনীরা। "শিক্ষাতীর্থ" মুখর হয়েছে শ্রীকান্ত আচার্য্য, লাইসা আহমদ লিসা,  সাশা ঘোষাল, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায় ঋতপা ভট্টাচার্য্যের কন্ঠের রবিগানে। কবিতা পাঠ করেছেন ব্রততী বন্দোপাধ্যায়। 


এই অনুষ্ঠান দেখা যাবে ১২ জুন এস.পি.সি ক্রাফটের ফেসবুক পেজে রাত ৯টা 


সমস্ত প্রেজেন্টেশনটি যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, কল্পনাসমৃদ্ধ এবং আগাগোড়া সম্পাদিত সেই সুজয়প্রসাদ বলেন, এই কোভিড-পর্বে (covid ) রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাচিন্তা আমাদের নতুন করে আলো দেখাচ্ছে। তবে প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক এই রাবীন্দ্রিক শিক্ষাচিন্তাকে আজ আমরা কতটা ধরে রাখতে পেরেছি, সেটা কিন্তু ভাবতে হবে। সুজয়প্রসাদ বলেন, 'এই যে একটা ভাইরাস সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থা, শৈশবকে প্রায় বিকলাঙ্গ করে তুলল, গড়ে তুলছে একটা ডিজিটাল প্রজন্ম, ঠিক এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতীর মতো একটা স্বপ্ন দেখা দরকার--এমন একটা স্বপ্ন যাকে স্বার্থান্বেষী রাজনীতি কলুষিত করতে পারবে না।'


সুজয়প্রসাদের উদ্বেগ ধরা পড়েছে সুপ্রিয় ঠাকুরের গলাতেও। এই ভিডিয়োয় বিশ্বভারতী (biswabharati) সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, 'বিশ্বভারতীর  শতবর্ষ পূর্তি হল। এই একশো বছরে বিশ্বভারতী কোথায় পৌঁছেছে সেটা একটা বিচার্য বিষয়। ... খুব দুঃখের বিষয়, রবীন্দ্রনাথের যেটা স্বপ্ন ছিল সেখানে বিশ্বভারতী পৌঁছতে পারেনি। এখন এটা একটা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।' 


তবে সুপ্রিয় ঠাকুর খুব জরুরি একটা বিষয় মনে করিয়ে দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী তৈরি করেছিলেন একটি বিশেষ মন্ত্রের উপর নির্ভর করে। সেই মন্ত্রে 'বিশ্বভবেত্য়েকনীড়ম' কথাটি ছিল। যেখানে সমস্ত  বিশ্ব এক নীড়ের মধ্যে এসে মিলবে। রবীন্দ্রভাবনার সেই ব্যাপ্তির কথাটি তিনি মনে করিয়েছেন। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পডুুন: ''বুথের দরজা ও ব্ল্যাকবোর্ডে গুলিরই চিহ্ন', শীতলকুচিকাণ্ডে CID-কে জানাল ফরেনসিক টিম