নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন। শহর ও শহরতলির চিত্রটা হুবহু গত বছরের মত। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ গণপরিবহন। তবে খোলা রয়েছে মুদিখানার দোকান, দুধের দোকান, সবজি বাজার, মাংসের দোকান। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানান হয়েছে। কার্যত এই লকডাউনে  রাস্তাঘাট শুনশান থাকলেও কেনাকাটা করতে বাজারে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ছবি ধরা পড়েছে সোনারপুর, খিদিরপুর ও নিউটাউন সহ বেশ কিছু এলাকায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খিদিরপুরে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। খিদিরপুরের বেশি কিছু বাজারেও আবার তেমন কোনো ভিড় দেখা গেল না। তবে কড়াকড়ি রয়েছে পুলিসের নজরদারি। 


আরও পড়ুন: করোনা রুখতে কার্যত ২ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা রাজ্য সরকারের


নিউটাউনের বিভিন্ন বাজার নির্ধারিত সময়ে খোলা হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য দিনের থেকে অনেক মানুষ কম। প্রত্যেকেই মাস্ক পরে ছিলেন। কিন্তু নিউটাউন মিশন বাজারে সকাল থেকে উপচে পড়ে ভিড়। সামাজিক দূরত্ব পালন করা হচ্ছিল না। ১০ টা বেজে গেলেও বাজার বন্ধ না হওয়ায় পুলিস লাঠি উঁচিয়ে বাজার বন্ধ করে।  অন্যদিকে বারুইপুর কাছারি বাজারে দেখা গেল বাজার করতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সবজি বাজারে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও মুদির মাল কিনতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। বাজার করতে আসা ক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। এত সচেতনতা মূলক প্রচারের পরেও বারুইপুর কাছারি বাজারে সবজি ব্যবসায়ীদের মুখে দেখা গেল না মাস্ক। 


আরও পড়ুন: কার্যত লকডাউনে শিয়ালদহে Taxi-র আকাল, নাজেহাল যাত্রীরা


বিমানবন্দরে প্রবেশ ও বাহিরের পথে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিস। প্রত্যেক গাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখা হচ্ছে। তারপরেই সেই গাড়িকে বিমানবন্দরে প্রবেশ বা বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: আরও কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪০৭৭


করোনা পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে আরও কড়া বিধি-নিষেধ চালু করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই বিধি-নিষেধ শুরুর প্রথম দিন আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে, হাজরা মোরে পুলিসের নাকা চেকিং শুরু হয়েছে।  যারা গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করছে তাদের প্রত্যেককে ধরে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা কোথায় যাচ্ছেন এবং কোথা থেকে আসছেন এবং তাদের কাছ থেকে প্রমাণপত্র হিসেবে যথাযথ কাগজ আছে কিনা তা দেখতে চাওয়া হচ্ছে। যাদের কাছ থেকে সঠিক পরিমাণে কাগজ পাচ্ছেন না তাদের বিরুদ্ধে পুলিস ফাইল করা হচ্ছে। রাস্তায় কিছু পার্সোনাল গাড়ি দেখা গেল এদিন সকালে, যাঁদের অধিকাংশই রোগীকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন, বা ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।