পিয়ালি মিত্র: পুরনো শত্রুতার জেরেই তিনটি খুন। ক্যানিংয়ে ৩ তৃণমূল নেতা-কর্মী খুনের ঘটনায় এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। খুনের ঘটনায় এখনও রাজনৈতিক কোনও যোগসূত্র মেলেনি বলেই খবর। পাশাপাশি, এই খুনের তদন্তে নেমে পুলিসের হাতে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই তিন খুনের মামলায় সন্দেহভাজন মূল অভিযুক্ত বছর দেড়েক আগে গ্রেফতার হয় এনডিপিএস মামলাতে। ওই অভিযুক্তের সন্দেহ ছিল বাদল নামে একজনের জন্য গ্রেফতার হতে হয়েছে তাঁকে। জেল থেকে বেরনোর পর ওই সন্দেহভাজন অভিযুক্ত বাদলের উপর হামলা চালায়। বাদল নস্কর তৃণমূলের একজন সক্রিয় কর্মী। তখন বাদলকে বাঁচান পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি। তারপর থেকেই স্বপনের উপর রাগ ছিল ওই সন্দেহভাজন অভিযুক্তের। আর তার জেরেই এই ঘটনা বলে অনুমান। স্বপনই ছিল মূল টার্গেট। মনে করছেন তদন্তকারীরা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যে রাস্তা দিয়ে বাইকে করে আসছিলেন স্বপনরা, তার উল্টোদিক থেকে একটি বাইকে করে আসে আততায়ীরা। রাস্তা আটকে দাঁড়ায় স্বপনদের। প্রথমে স্বপনকে গুলি করে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর বাকি দু’জনকে খুনের পর পালায় অভিযুক্তরা। একজন বাইকে করে পালায়। অন্য তিনজন মাঠ দিয়ে দৌড়ে পালায়। পুলিস মনে করছে, আগে থেকে মাঠের পাশে বসে অপেক্ষা করছিল ওই আততায়ীরা। ওই রাস্তা দিয়েই যে স্বপনরা মিটিংয়ে যাবেন, আগে থেকে তার খবর ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। একটি বাইকে করে আসে চারজন।


ঘটনাস্থল থেকে গুলি উদ্ধার করেছে পুলিস। মূল অভিযুক্তের সঙ্গী বাকি তিনজনকেও চিহ্নিত করেছে পুলিস। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে সিআইডি টিমও। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা দাবি করেছেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশাপাশি ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই।


আরও পড়ুন, Pool Car, Kolkata Police: গাড়ি নয় পুল-কার, কমবে যানজট-দূষণ, স্কুলে স্কুলে পোস্টার কলকাতা পুলিসের


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)