Mamata Banerjee: `কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এটাকে...` বাংলাদেশ নিয়ে এবার মমতার নিশানায় BSF!
Mamata Banerjee: কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমণ দাসকে সঙ্গে নিয়ে দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরে পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, আমরাও চাই ভারত সরকার পদক্ষেপ করুক। মানুষের নিরাপত্তা দিক। যাঁরা ফিরতে চাই, ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক`।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'ভারত সরকার পদক্ষেপ করুক'। দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে ফের বাংলাদেশ নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এটাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্ডার থেকে অনেকে চলে আসছে, আমি শুনছি। কিন্তু বিএসএফ কোথাও আটকাচ্ছে, কোথাও আটকাচ্ছে না'।
ঘটনাটি ঠিক কী? পদ্মাপাড়ে অশান্তি। বাংলাদেশে 'আক্রান্ত' সংখ্যালঘুরা। মৌলবাদীদের টার্গেটে ইসকনও? সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি ভিডিয়োও। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষও! ভারত বিরোধী মিছিল থেকে চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা আধিকারিকরা।
এদিকে পুরীর ধাঁচে এবার জগন্নাথ মন্দির হচ্ছে দিঘায়। আজ, বুধবার সেই মন্দিরের কাজ খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমণ দাসও। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'কিছু ফেক ভিডিয়ো-ও চলছে। ভারত সরকার প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। ভারত সরকারের দেখার কথা, আমার তো দেখার কথা নয়। আমি তো শুনেছি ভিসা আরও বাড়ানো হয়েছে, যাতে ওখান থেকে আরও বেশি লোক এখানে আসতে পারে। আমাদের লোকেদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক, আমি তো অলরেডি বলেছি। যাঁরা আসতে চায়'।
মুখ্য়মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, 'এটা ভারত সরকারের ব্য়াপার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ব্য়াপার নয়। বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না। কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এটাকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এখানকার ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। সব ইমামরা, বড় বড় ইমামরা একসাথে বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্য়ালঘুদের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে। আমরা তার নিন্দা করি। আমরা তাঁদের নিরাপত্তার দাবি জানাই। আমরা সকলেই নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। আমরাও চাই ভারত সরকার পদক্ষেপ করুক। মানুষের নিরাপত্তা দিক। যাঁরা ফিরতে চাই, ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক'।
মমতা জানান, 'অসামরিক বিমান পরিষেবার মাধ্যমে যাঁরা আসছে, প্লেন তো চালু আছে। ট্রেন তো চালু আছে। আসছে তো লোকজন। ভিসা যাদের আছে, পাসপোর্ট যাঁদের আছে, তাঁরা তো আসছেন। ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডার একটাও তো বন্ধ করা হয়নি। বন্ধ করলে তো নির্দেশটা আমাদের কাছে থাকত। আমাদের কাছে এমন কোনও নির্দেশ নেই। সবটাই ভারত সরকারের ব্য়াপার'। তাঁর কথায়, 'আমরা শুধু চাই, তাঁরা যেন আমাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক, সংখ্যাগুরুরা যেমন সংখ্যালঘুদের রক্ষা করে। সব জায়গায় নিয়ম হচ্ছে, সংখ্যাগুরুদের দায়িত্ব সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা'।
ঘটনাটি ঠিক কী? পদ্মাপাড়ে অশান্তি। বাংলাদেশে 'আক্রান্ত' সংখ্যালঘুরা। মৌলবাদীদের টার্গেটে ইসকনও? সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি ভিডিয়োও। বিধানসভায় বাংলাদেশে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে যা বলার, কেন্দ্র বলবে। বাংলাদেশ নিয়ে চুপ ভারত সরকার। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সঙ্গে কথা বলুন প্রধানমন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রী'।
কলকাতা ইসকনের মুখপাত্র রাধারমণ দাসকে সঙ্গে নিয়ে দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরে পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, আমরাও চাই ভারত সরকার পদক্ষেপ করুক। মানুষের নিরাপত্তা দিক। যাঁরা ফিরতে চাই, ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুক'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)