`উত্তরবঙ্গে দ্রুত ছড়াচ্ছে Covid সংক্রমণ, সতর্ক না হলে ২ মের পর হাসপাতালে জায়গা হবে না`
সুশান্ত রায় বলেন, ২৩শে মার্চ থেকে ৪ই এপ্রিল এই ১৩ দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৮ জন। সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মালদা জেলা
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটে রাজনৈতিক সমাবেশে মানা হচ্ছে না করোনা বিধি। ফলে পাহড় থেকে সমতলে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এখনই সচেতন না হলে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া যাবে না করোনা রোগীদের। মঙ্গলবার এমনই জানালেন উত্তরবঙ্গের কোভিড আধিকারিক ডা সুশান্ত রায়।
আরও পড়ুন-উলুবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইভিএম উদ্ধার, ঘটনায় সাসপেন্ড এসআই ও ৩ হোমগার্ড
এদিন তিনি ঘুরিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন। বলেন, নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে কিনা এটা যাদের দেখা কর্তব্য তারা ঠিকমতো দেখছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গত নভেম্বর মাসের পর থেকে উত্তরবঙ্গে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু নির্বাচন আসতেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। কারন, অধিকাংশ সভা সমিতি গুলিতে মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। অবিলম্বে সকলে সচেতন না হলে আগামী ২ মে-র পর কোভিড হাসপাতালে আমরা জায়গা দিতে পারব না।
সুশান্ত রায় বলেন, ২৩শে মার্চ থেকে ৪ই এপ্রিল এই ১৩ দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৮ জন। সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মালদা(Maldah) জেলা এবং তারপরেই রয়েছে দার্জিলিং। এই ১৩ দিনে মালদায় ১৭৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন (শুধুমাত্র আর টি পি সি আর পরীক্ষা), র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেষ্ট ধরা হয়নি। সেটা ধরলে সংখ্যাটা অনেক বেশী। দার্জিলিং জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১৭৪ জন। জলপাইগুড়িতে গত চারদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ জন। উত্তর দিনাজপুরে ১০১ জন। দক্ষিণ দিনাজপুরে ৫১ জন।
আরও পড়ুন-হাসপাতালে গিয়েও রেহাই নেই, উলুবেড়িয়ায় 'আক্রান্ত' বিজেপি প্রার্থী Papiya Adhikari
তিনি আরও বলেন করোনা সংক্রমণে ইতিমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় ৬ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। ২০-২১ জন চিকিৎসক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। যারা সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এভাবে সমস্ত মহল যদি কোভিড বিধি মানতে উদাসীন হয় তবে আগামীতে আমাদের চিকিৎসক বা নার্সরা কতদূর স্বাস্থ্য পরিসেবা দেবে তা নিয়েও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
এনিয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।