চা বাগানে উদ্ধার হল যুগলের ঝুলন্ত দেহ

রবিরার সকালে বড়দিঘি বাজার সংলগ্ন নেপুছাপুর চা বাগানের ৬০ নম্বর সেকসন এলাকার চাবাগানের এক গাছে দুই জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাগানের শ্রমিকরা। খবর পেয়ে মাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জোড়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

Updated By: Sep 23, 2018, 04:27 PM IST
চা বাগানে উদ্ধার হল যুগলের ঝুলন্ত দেহ

নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত সকালে যুগলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার মালবাজার মহকুমার নেপুছাপুর চা-বাগানে। প্রণয় ঘটিত কারণে যুগল আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিসের।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে,মাল ব্লকের বড়দিঘি স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা ১৮ ছুঁই ছুঁই কিশোরী মিনা কর্মকার বড়দিঘি হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সহপাঠী বিপ্লব রায় এক সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। কান্তদিঘি কুমার পাড়ার বাসিন্দা বিপ্লবের সঙ্গে একবার পালিয়েও গিয়েছিলেন ওই কিশোরী। দুই বাড়ির লোকজন বুঝিয়ে বাড়ি ফেরায় তাঁদের। তারপর কিছুদিন স্বাভাবিক চলছিল। শনিবার রাতে ফের নিখোঁজ হয় ওই যুগল। গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজ খবর করেও সন্ধান মেলেনি তাঁদের। রবিবার সকালে চা বাগানের ছায়াগাছ থেকে মুখোমুখি ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। 

মৃত বিপ্লবের মা  বিমলা রায় বলেন, 'শনিবার রাতে আমার বাড়িতে চলে আসে মিনা। ছেলেকে বলে, 'রবিবার আমাকে বিহারে পাঠিয়ে দেবে তাই আমি পালিয়ে এসেছি।' 
বিপ্লবের মা মেয়েটিকে বলেন, আজ আমার বাড়িতে থাক। রবিবার তোদের বিয়ে দিয়ে দেব। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আমার ছেলে ও মিনা ঘরের জানালা দিয়ে কোথায় চলে যায়। তাদের আর কোন খোজ পাইনি।' বিপ্লবের পরিবার এই বিয়েতে রাজি থাকলেও মেয়ের মা রাজি ছিলেন না বলে বিপ্লবের মায়ের অভিযোগ। 

নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করতে এলে পুলিসকে গাছে বেঁধে পেটান, নিদান বিজেপি নেতার

রবিরার সকালে বড়দিঘি বাজার সংলগ্ন নেপুছাপুর চা বাগানের ৬০ নম্বর সেকসন এলাকার চাবাগানের এক গাছে দুই জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাগানের শ্রমিকরা। খবর পেয়ে মাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জোড়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

এদিকে মিনার দাদা রোহিত কর্মকার বলেন, আমরাও এই বিয়েতে রাজি ছিলাম কিন্তু বোনের বয়স ১৮ বছর হয়নি বলে বিয়ে দিইনি। ১৮ বছর হয়ে গেলেই বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। 

জানা গেছে, মৃত বিপ্লব রায় এবং মিনা কর্মকার কবাডি খেলোয়াড়।  বিপ্লব জেলা স্তরে ওড়িশাতেও খেলেছে। তাদের এই ভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্কুলের শিক্ষকরা।

.