নিজস্ব প্রতিবেদন: শিশু সন্তানদের সামনেই আত্মঘাতী হলেন বাবা-মা। শুক্রবার রাতে সোনারপুরের বৈষ্ণবপাড়ার ঘটনা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার আওয়াজ পান তারা। এক কিছুক্ষণ পরই দম্পতির ৪ বছরের ছেলে প্রতিবেশীদের ডাকে। দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় তাপস ও প্রিয়ঙ্কা নাইয়ার ঝুলন্ত দেহ। কী কারণে সন্তানদের সামনেই আত্মঘাতী হলেন বাবা-মা, জানতে তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিজেদের মতেই বিয়ে করেছিলেন তাপস ও প্রিয়ঙ্কা। পেশায় মত্স্য ব্যবসায়ী তাপসের সঙ্গে স্ত্রীর দাম্পত্যকলহ লেগেই থাকত। তা সত্বেও কয়েক দিন আগেই স্বামীর জন্মদিন পালন করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। এরই মধ্যে এমন মর্মান্তিক ঘটনার কারণ খুঁজছেন প্রতিবেশীরাও। 


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতেও তাপস ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে। তবে স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার বলে নাক গলাননি তার। কিছুক্ষণ পর ঝগড়া থেমেও যায়। এরই মধ্যে হঠাত্ চিত্কার করে প্রতিবেশী মহিলাকে ডাকতে থাকে দম্পতির ৪ বছরের ছেলে আয়ুষ। প্রতিবেশী এসে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ধাক্কা দিতে খুলে যায় জানলা। জানলা দিয়ে প্রতিবেশী ওই মহিলা দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন দম্পতিকে। নীচে বসে খেলা করছে দম্পতির শিশুকন্যা আরাধ্যা। 


কোচবিহারে বিজেপি সভাস্থল 'হিন্দু মতে' শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল


প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে সোনারপুর থানার পুলিস। 


এক লহমায় বাবা-মা-কে হারিয়ে আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছে অয়ুষ ও আরাধ্যা। প্রতিবেশীদের কোল ছাড়তে চাইছে না তারা। দম্পতির পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস। 


বছর চারেকে ছেলে আয়ুষ। তাপস নাইয়া, প্রিয়াঙ্কা নাইয়া।