CPM-র কী আছে? মতাদর্শ, ভাঙাতে এসে দেবেশ দাসের কাছে শুনল PK-র লোক
অগাস্ট ঠিক সকাল ১০ বেজে ৪৮ মিনিটে বেজে ওঠে দেবেশ দাসের মুঠোফোন। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোনের ওপ্রান্তের ভদ্রলোক বলেন,`স্যর আমি আইপ্যাক থেকে বলছি।`
মৌমিতা চক্রবর্তী: একুশে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর এখন লক্ষ্য ভোটের আগে দলের ইমেজ মেরামতি। আর সে কারণে স্বচ্ছ ও সত্ নেতানেত্রীদের দোরে দোরে ঘুরছে পিকে-র সংস্থা IPAC। ফোন করা হচ্ছে সিপিএমের নেতানেত্রীদেরও। এর আগে প্রাক্তন বিধায়ক লক্ষ্মীকান্ত রায়কে প্রস্তাব দেওয়ার খবর শোনা গিয়েছিল। এবার পিকের টিমের ফোন গেল রাজ্যের প্রাক্তন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী দেবেশ দাসের কাছে। তবে সেখানেও নিরাশই হল টিম পিকে। আরও একবার শুনতে হল, মতাদর্শের ভিত এখনও নড়বড়ে হয়নি। সুবিধাবাদী রাজনীতির যুগেও শত প্রলোভনে 'বিদ্রোহ' করবে না আদর্শ।
৪ অগাস্ট ঠিক সকাল ১০ বেজে ৪৮ মিনিটে বেজে ওঠে দেবেশ দাসের মুঠোফোন। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোনের ওপ্রান্তের ভদ্রলোক বলেন,'স্যর আমি আইপ্যাক থেকে বলছি।' IPAC-র সঙ্গে পরিচিতি নেই দেবেশ দাসের। প্রশ্ন করলেন, আইপ্যাকটা আবার কী? উত্তর এল, স্যর পিকে, পিকে জানেন না! দেবেশ দাস বললেন,''একটা পিকে নামে সিনেমা হয়েছে বলে শুনেছি।'' ওপারের ব্যক্তি ভাঙলেন,''পিকে মানে প্রশান্ত কিশোর। আপনি ভালো ও সত্য লোক। তৃণমূলে কেন যোগ দিচ্ছেন না?'' দেবেশ দাস নম্রভাবে উত্তর দিলেন,''আপনি ভুল লোককে ফোন করে ফেলেছেন।'' টেলিকলার নাছোড়। খানিকটা ব্যঙ্গই করলেন,''সিপিএমের কী আছে আর?'' দেবেশবাবু এবার বললেন,''আমার দলের মতাদর্শ আছে। আপনি ফোনটা রাখুন। আর ফোন করবেন না।'' বুদ্ধদেববাবুর সতীর্থকে যে ভাঙানো যাবে না, তা ঠারেঠোরে বুঝল পিকে-র সংস্থা।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানায় তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। সেক্টর ফাইভে আসতে শুরু করেছিল একের পর এক সংস্থা। আর সেই সময়ে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ দাস। ২০১৫ সালে বনগাঁয় উপনির্বাচনে দেবেশ দাসকে পরাজিত করেন তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুর।
আরও পড়ুন- রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সভাতে ছাড়, নয়া গাইডলাইনে খুলছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান