নিজস্ব প্রতিবেদন: হিন্দুত্বের রাজনীতি করেই বাংলায় বিজেপির উত্থান। লোকসভা ভোটে রাজ্যে মেরুকরণের লাভ ঘরে তুলেছে গেরুয়া শিবির। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন জিতেছে তারা। কিন্তু একটা কেন্দ্রে হারায় সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারদের পাশে না দাঁড়াতে নিদান দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিতর্কিত মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাইরাল ভিডিয়োয় বোঝা যাচ্ছে, দিলীপকে কৃষ্ণনগরের কোনও একটা সমস্যার কথা দিলীপকে বলছেন দলের কর্মীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রশ্ন করছেন, হারল কেন ওখানে বিজেপি? কর্মীরা জবাব দেন, সংগঠন ছিল না। আমরা তো করছি। খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়ে দিলীপ পাল্টা বলেন, 'সংগঠন কে করবে? আমি গিয়ে করব না হিন্দুরা করবে'। এরপরই দিলীপ বলতে শুরু করেন, 'কৃষ্ণনগরের লোকের প্রতি কোনও মায়া নেই। ওরা জুলু বাবুকে হারিয়েছে। আবার কল্যাণকে হারিয়েছে। পাশে দেখুন আড়াই লক্ষ ভোটে জিতিয়েছে। কী কারণে ওদের জন্য করব। নির্মম হোন। হিন্দু অনেক মরেছে আরও কিছু মরুক'।  



প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির কল্যাণ চৌবেকে হারিয়ে জিতেছেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৫,৫১,৬৫৪টি অর্থাত্ ৪০.৩৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে বিজেপি প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৩,২৯,৮৩৭টি ভোট। ভোটের হার ২৬.৩৮ শতাংশ। ফলে ৫ বছরে বিজেপির ভোটের হারে বেশ চমকপ্রদ উত্থান হয়েছে।


কিন্তু ভোটে না জিতলে মানুষের পাশে দাঁড়াব না, এমনটা তো হতে পারে না। খোদ নরেন্দ্র মোদীই তো সবকা সাথ, সবকা বিকাশ মন্ত্রে বিপুল জনাদেশ পেয়েছেন। সংসদীয় নির্বাচিত হয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদেরও খেয়াল রাখতে হবে জনপ্রতিনিধিদের। আর পশ্চিমবঙ্গের ফলাফলেই স্পষ্ট, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার ভোটেই সমস্ত হিসাব ওলটপালট করে দিয়েছে বিজেপি।  ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল।  


আরও পড়ুন- বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না, জল্পনা উড়িয়ে দিলেন সব্যসাচী দত্ত