East Burdwan: একই নামে বিপত্তি, মৃতের নামে আবাস যোজনার টাকা ঢুকল জীবিতের অ্যাকাউন্টে!

কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ার ২ নম্বর ব্লকের সিঙ্গত গ্রামের ঘটনা। দাস পাড়ায় হারাধন দাস নামে দুই ব্যক্তি রয়েছেন। এর মধ্যে এক জন মৃত, আর অন্যজন জীবিত। দুই হারাধনের নামই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর পাবার তালিকায় রয়েছে।

Updated By: Jul 2, 2022, 01:43 PM IST
East Burdwan: একই নামে বিপত্তি, মৃতের নামে আবাস যোজনার টাকা ঢুকল জীবিতের অ্যাকাউন্টে!
প্রতীকী ছবি

সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী:  দুই ব্যক্তি,একই নাম। আর এই নাম বিভ্রান্তিতে আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর তৈরির টাকা ঢুকল অন্য জনের অ্যাকাউন্টে। টাকা পেয়ে প্রাপকের দাবি এই টাকা তার। প্রকৃত উপভোক্তার দাবী ভুল বশত অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে, এই টাকার দাবিদার তারাই। টাকার দাবিদার আসলে কে এই টানাপোড়েনে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত। দুই ব্যক্তির একই নাম হওয়ায় ভুল বশত এই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলেই সাফাই পঞ্চায়েত প্রধানের।

কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ার ২ নম্বর ব্লকের সিঙ্গত গ্রামের ঘটনা। দাস পাড়ায় হারাধন দাস নামে দুই ব্যক্তি রয়েছেন। এর মধ্যে এক জন মৃত, আর অন্যজন জীবিত। দুই হারাধনের নামই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর পাবার তালিকায় রয়েছে। জীবিত থাকা বৃদ্ধ হারাধনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিন কয়েক আগে প্রকল্পের ঘর তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢোকে। তার পরিবার থেকে প্রমাণ পত্র সহ ব্যংকে গেলে এই টাকা তাদের বলে জানানো হয়। অন্য দিকে, খবর পেয়ে মৃত হারাধন দাসের পরিবার পঞ্চায়েতে খোঁজ নিতেই তাদের জানানো হয় তাদের পরিবারের জন্য ঘর তৈরির টাকা ব্যংকে পাঠানো হয়েছে।

জীবিত হারাধনের ছেলে পরেশ দাসের দাবি, মাটির ঘর তাদের তাই এই প্রকল্পে পাকা ঘর পাওয়ার জন্য ৬ মাস আগে দিদিকে বলোতে ফোন করায় তালিকায় বাবার নাম ওঠে। এরপরেই কিছুদিন আগেই প্রথম কিস্তির টাকা পায়। ''ঘর তৈরীর জন্য এই  টাকার দাবিদার আমার বাবা। আমরাই প্রাপ্য।'' অন্যদিকে পাকা বাড়িতে থাকা মৃত হারাধনের দুই ছেলে দিনু ও কার্তিক দাসের দাবি, বাবা বেঁচে থাকাকালীন প্রকল্পের ঘর পাওয়ার তালিকায় বাবার নাম ওঠে। সেই টাকা ভুল বশত অন্য হারাধন দাসের নামে এসেছে। এই টাকার দাবিদার আমাদের পরিবার। পাকা বাড়ি থাকতেও কি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর পাওয়া যায়? ছেলেদের উওর বাবা জানুয়ারি মাসে মারা যাবার আগে পর্যন্ত আমাদের মাটির বাড়ি ছিল।

পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পের নাম তালিকা ভুক্ত করার দায়িত্বে থাকা নাজমুল হোদা বলেন, দুই ব্যক্তি একই নাম হওয়ায় ভুল করে এই টাকা অন্য একাউন্টে ঢুকেছে। প্রধান রানী দাস জানান কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকল জানি না। বিডিওকে বলে টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। পাকা বাড়ি থাকলে কি মৃত হারাধন দাসের ছেলেরা এই প্রকল্পের টাকা পেতে পারে?  এই প্রশ্নে প্রধানের জবাব, দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই মাটির বাড়িতে থাকে সেই পাবে এই টাকা।

আরও পড়ুন, Bhatpara: ফের ভাটপাড়ায় শুটআউট, পর পর ৬টি গুলিতে নিহত যুবক

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.