Father Kills Son: পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী, ঘর ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে `সহবাস`, বাবার হাতে মর্মান্তিক পরিণতি ৬ বছরের খুদের
সান আলির কথাতেই ধরা পড়ে তাঁর কুকর্ম। আসান আলি জানায় যে, পুকুর ধারে পড়ে রয়েছে নাজিম। এদিকে সে দাবি করে যে সে ছেলেকে নিয়ে যায়নি।
প্রসেনজিৎ সরদার: বিবাহ বহির্ভূত (Extra Marital) সম্পর্কে লিপ্ত স্ত্রী। ২ মাস আগেই ঘর ছাড়ে। ৬ ও ৮ বছরের দুই শিশুপুত্রকে স্বামীর কাছে রেখে, মায়ের কাছে চলে যায় স্ত্রী। তারপরই প্রেমিকের সঙ্গে শুরু করে 'সহবাস'। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়েও স্ত্রীকে আর নিজের কাছে ফেরাতে পারেনি স্বামী। শেষে ছোট ছেলেকে স্ত্রী নিয়ে যেতে চাইলে, আক্রোশে ৬ বছরের খুদেকে পুকুরের চুবিয়ে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে (Father Kills Son)।
মৃত শিশুর নাম নাজিম সরদার। বয়স ৬। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা (Gosaba) ব্লকের পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ বছর আগে পাঠানখালির তালতলা গ্রামের বাসিন্দা আসান আলি সরদারের সাথে গোসাবার চন্ডীরমোড় আরামপুরের মিস্ত্রি পাড়ার বাসিন্দা নাজমিরার বিয়ে হয়। দম্পতির দুই পুত্রসন্তানও হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে নাজমিরার মা সামিরন খান তাঁর স্বামীকে ত্যাগ করে পরপুরুষের সঙ্গে কলকাতায় থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, এরপর থেকে নানা অছিলায় নাজমিরাকে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে উসকাতে থাকেন সামিরন খান। এরপরই মাস দুয়েক আগে নাজমিরা তাঁর ৬ ও ৮ বছরের দুই শিশুপুত্রকে স্বামীর কাছে রেখে মায়ের কাছে চলে যান। সেখানেই এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। তারপর যুগলে গোসাবার চন্ডীরমোড়ে বসবাস শুরু করে।
স্ত্রীকে একাধিকবার বুঝিয়েও নিজের কাছে আর ফিরিয়ে আনতে পারেননি আসান আলি। এরপরেও দুই সন্তানকে নিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক-ই চলছিল। কিন্তু ইদানিং ছোট ছেলে, ৬ বছরের নাজিমকে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা শুরু করে নাজমিরা। এদিকে ছেলেকে ছাড়তে নারাজ তার স্বামী। অভিযোগ, এরপরই পাড়াপ্রতিবেশী সবার অলক্ষ্যে ৬ বছরের ছেলেকে পুকুরের জলে চুবিয়ে খুন করে আসান আলি। খুনের পর ঘটনার কথা যাতে কেউ জানতে না পারে, সেজন্য শিশুসন্তানের দেহ পুকুরে জলে ফেলে রেখে ডালপালা ঢাকা দিয়ে দেয়। যাতে সবাই মনে করে যে, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট নাজিমের।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দীর্ঘক্ষণ ওই শিশুকে দেখতে না পেয়ে পাড়া প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন নাজিমের খোঁজ শুরু করেন। বিস্তর খোঁজাখুজির পরেও না পেয়ে আসান আলিকে ফোন করে করে সবাই জানতে চান নাজিম কোথায় রয়েছে? তখনই আসান আলির কথাতেই ধরা পড়ে তাঁর কুকর্ম। আসান আলি জানায় যে, পুকুর ধারে পড়ে রয়েছে নাজিম। এদিকে সে দাবি করে যে সে ছেলেকে নিয়ে যায়নি। এরপরই পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় ছোট্ট নাজিমের নিথর দেহ। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত আসান আলিকেও গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে আসান আলি।