নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভালোবাসার টানে বাবার ঘর  ছেড়েছিলেন।  কিন্তু ভালোবাসার দাম যে এইভাবে চুকোবে ভালাবাসারই মানুষটি, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও কোনওদিন ভাবতে পারেননি সোনারপুরের দেবপ্রিয়া প্রামাণিক। দাবী মতো পণ না পাওয়ায় ও কন্যা সন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে মদের সঙ্গে মিশিয়ে বিষ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।  এরপর স্ত্রীকে হাসপাতালে ফেলে রেখেই চম্পট দিলেন স্বামী! মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের ডিঙ্গেলপোতা এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 বছর চারেক আগে বাবা-মায়ের অমতেই সোনারপুরের ডিঙ্গেলপোতার বাসিন্দা চিত্ত প্রামাণিকের সঙ্গে বিয়ে হয় দেবপ্রিয়া ভট্টাচার্যের।  বছর খানেক পর তাঁদের এক কন্যাসন্তান হয়। অভিযোগ এরপর থেকেই বিগড়ে যায়  চিত্তের মতিগতি। দেবপ্রিয়ার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন তিনি।   সময় যত এগোতে থাকে, ততই খারাপ হতে থাকে দুজনের সম্পর্ক।  এক বছর আগে দেবপ্রিয়াকে হঠাত্ই তাঁর বাপেরবাড়ি দিয়ে যান চিত্ত।


আরও পড়ুন:  পাড়ার পুজোর প্যান্ডেলের ভিতর চোখ যেতেই জ্ঞান হারালেন স্থানীয় বাসিন্দারা! ভয়ঙ্কর দৃশ্য


পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি চিত্তের দাবি ছিল গাড়ি ও টাকা। একসঙ্গেই এতকিছু দিতে অক্ষম ছিল দেবপ্রিয়ার পরিবার। তাতেই আরও অশান্তি বাড়ে। কিছুদিন আগে দেবপ্রিয়াকে ফের বাড়ি নিয়ে যান চিত্ত। এরইমধ্যে দেবপ্রিয়া আরও এক পুত্রসন্তানে জন্ম দেন। কিন্তু তাতে থামেনি অশান্তি। বরং আরই বাড়ে। ছেলেমেয়েকে নিয়ে আবারও বাপেরবাড়ি চলে আসতে চান দেবপ্রিয়া। কিন্তু সেকথা চিত্ত জেনে ফেলায়, অশান্তি চরমে ওঠে।


আরও পড়ুন: এক জন হাতের শিরা কাটল, অপরজন খেল ঘুমের ওষুধ! ক্লাসরুমে ২ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা


দেবপ্রিয়ার পরিবার জানান, রবিবার সন্ধ্যায় চিত্ত ফোন করে তাঁদের জানান, ‘দেবপ্রিয়ার লাশ এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে পড়ে রয়েছে। আপনারা গিয়ে বডি নিয়ে নিন।’ একথা বলার পরই ফোন কেটে দেন চিত্ত। প্রথমে একথা বিশ্বাসই করতে চাননি দেবপ্রিয়ার মা-ভাই। পরে তাঁকে হাসপাতালে ফোন করে সত্যিটা জানতে পারেন।  দেবপ্রিয়ার পরিবার সাংবাদিকদের কাছে এও অভিযোগ করেন, পরিবারের সকলের সামনে দেবপ্রিয়ার ভাসুর তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন।  ঘটনার পর থেকেই পলাতক চিত্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।  তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।