ওয়েব ডেস্ক: শিব জ্ঞানে জীব সেবাই ছিল তাঁর জীবনব্রত। মানুষের কল্যাণেই জীবন উত্‍সর্গ করলেন এই মানবতার পূজারি। ভক্তদের পরিবারের সুখ-শান্তির দিকে ছিল এই প্রবীন সন্ন্যাসীর কড়া নজর। আর্ত-পীড়িত মানুষের জন্যেও আসমুদ্র হিমাচল ছুটে বেড়িয়েছেন এই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, তোদের এমনই ভালবাসি যে খুব খুশি হব, যদি শুনি যে তোরা অপরের জন্য খেটে খেটে মরে গিয়েছিস।  সেই আদর্শ সঙ্গে নিয়েই পথ হেঁটে চলেছে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। সেই আদর্শেই অনুপ্রানিত ছিলেন স্বামী আত্মস্থানন্দ। কর্মযোগের মধ্যে দিয়েই ঈশ্বর লাভের পথ খুঁজেছেন তিনি আজীবন। দীন দরিদ্র,আর্ত,পীড়িত মানুষের জন্য তাঁর মন কাঁদত। আসমুদ্র হিমাচল তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন মানুষের কল্যাণে। 


১৯৭৬-৭৭ সাল। তত্‍কালীন প্রেসিডেন্ট বীরেশ্বরানন্দজির মধ্যস্থতায় স্বামী আত্মস্থানন্দজীকে বেলুড় মঠে আনা হল। তখন সেখানে উদ্যোমী নেতৃত্বের খুব প্রয়োজন।  সেসময় স্বামী আত্মস্থানন্দজী ছিলেন জুজরাটের রাজকোটের রামকৃষ্ণ আশ্রমের প্রধান।  সেখানেই তাঁর কাছে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন এক তরুণ।তাঁর নাম নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। তাঁর কৃপাধ ন্য হয়েছেন অগনিত মানুষ। জীবনের কঠিন সময়েও তাঁর শান্ত অবিচল রূপ দেখে আশ্চর্য হতেন তাঁর অগনিত ভক্ত কূল। জীবনকে দেখতেন খুবস সহজভাবে।বলতেন  মানবসেবাকেই জীবনের পরম ধর্ম। সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই। 


আজীবন সেই কাজই করে গেছেন প্রবীন এই সন্ন্যাসী। সামলেছেন বহু গুরু দায়িত্ব। তরুণদের কাছেও অসম্ভব  জনপ্রিয় ছিলেন এই মানুষটি। দীর্ঘ জীবনে তাঁর স্নেহের পরশ পেয়েছেন বহু মানুষ। বিদায় বেলায় সেই স্মৃতিতেই চোখ ভেসেছে তাঁর অগনিত ভক্তের। শিব জ্ঞানে জীব সেবার মহান আদর্শকেই হাতে কলমে করে দেখিয়েগেছেন এই কর্মযোগী।