নিজস্ব প্রতিবেদন : কিছুতেই ছবি তুলতে দিত না নতুন পরিচারিকা। কিন্তু তাঁর উদ্দেশ্য যে এমন ছিল তা ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেনি গৃহকর্ত্রী।  কাজে রাখার ১২ দিনের মাথায় বাড়ির সবাই কে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে সোনার গয়না ও নগদ নিয়ে চম্পট দিল পরিচারিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধূপগুড়ি মাষ্টারকোয়াটার পাড়ার বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী কাঞ্চন বোস ও তাঁর অসুস্থ স্ত্রী। একমাত্র মেয়ে শিলিগুড়িতে পড়াশুনো করছে। কিছুদিন হল বাড়ির পুরনো পরিচারিকা ছুটি নিয়েছিলেন। তারপরই ধূপগুড়িরই বাসিন্দা মঞ্জু সাহাকে কাজে রাখেন কাঞ্চন বোস।


কাঞ্চন বোস জানিয়েছেন, শনিবার ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয় তাঁর। ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পান মঞ্জু সাহা তাঁর ঘরে নেই। ফাঁকা ঘরে পড়ে রয়েছে খালি গয়নার বাক্স। এরপরই স্ত্রীর ঘরে গিয়ে কাঞ্চন বোস দেখেন আলমারি খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্ত্রীর শাড়ি থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে আলমারির চাবিগোছা।


আরও পড়ুন, ১৮ কেজি মাংসের অর্ডার দিয়ে অভিনব প্রতারণা 'জওয়ানের'!  


এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপরই মঞ্জু সাহার দেওয়া বাড়ির ঠিকানায় খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায়, সেই ঠিকানাটিও ভুয়ো। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, খাবার সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়েই কাঞ্চন বোস ও তাঁর স্ত্রীকে অজ্ঞান করে দেয় অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা। তারপরই টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট দেয় সে। এই ঘটনার পরই ধূপগুড়ি পৌরসভার উপ-পুরপ্রধান রাজেশ সিং পরিচারিকদের পরিচয়পত্র থানায় জমা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।