তপন দেব: বাড়ির বাসনকোসন দিলেই হল। কয়েক মিনিটেই সেই ধাতু থেকে দুর্গা-কালী-গণেশ মূর্তি বানিয়ে দিচ্ছেন শিল্পী সোয়েদ আজম। আলিপুরদুয়ারের সিকিয়াঝোড়ায় এই মূর্তি শিল্পীকে নিয়ে গ্রামের মানুষের উত্সাহের কোনও খামতি নেই। মুসলিম বলে কোনও ছুঁত্ত্মার্গও নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যের ৩ শিশু মৃত্যুর দায় কার; গিরিরাজ সিংকে গ্রেফতার করা উচিত, বিস্ফোরক অভিষেক


রবিবার সিকিয়াঝোরায় দেখা মিলল সোয়েদ আজমের। গ্রামের এক জায়গায় তাঁবু পেতে বসেছেন। সামনে জ্বলছে কয়লায় উনুন। তাতে মেশিনের সাহায্যে চলছে হাওয়া দেওয়ার কাজ। তাঁকে ঘিরে রয়েছে গ্রামের মানুষজন। অনেকের হাতেই কাঁসা, পিতলের জিনিসপত্র। তারা এসে পছন্দের মূর্তি বানানোর জন্য সেইসব কাঁসা, পিতল তুলে দিচ্ছেন সোয়েদের হাতে। সেই ধাতু থেকে কালী, শিব, দূর্গা, গণেশের মূর্তি চোখের সামনে বানিয়ে দিচ্ছেন শিল্পী।


বাজার থেকে ঠাকুরের মূর্তি কিনতে গেলে দিতে হবে নগদ টাকা। তাই গ্রামের মানুষজন তাদের বাড়িতে থাকা ধাতুর জিনিপত্র নিয়ে হাজির হচ্ছেন সোয়েদের দরবারে। চোখের সামনেই সেই মূর্তি গলিয়ে বানিয়ে দিচ্ছেন পছন্দের মূর্তি। এলাকার এক গৃহবধূ শ্রীমতি কর্মকার বলেন, ২টি কাঁসার থালা আর একটা গ্লাস দিয়েছি লক্ষ্মীনারায়ণের মূর্তি বানানোর জন্য। মজুরি হিসেবে কিছু টাকা দিতে হবে। মূর্তি বড় হলে মজুরি বেশি লাগে। ছোট মূর্তি হলে একশো দেড়শো টাকা নেয়। আজ আমাদের গ্রামে অনেকেই মূর্তি বানাতে দিয়েছে। অনেক দিনই ইচ্ছে ছিল এরকম একটা মূর্তি বানাব।


শিল্পী সোয়েদ আজম বলেন, রুপো, পিতল দিয়ে মূর্তি বানিয়ে দিই। এখানে বসেই বানিয়ে দেব। বাড়িতে যদি পিতল, কাঁসা, রুপোর জিনিস থাকে তা গলিয়ে সামনে বসেই বিভিন্ন দেবতার মূর্তি তৈরি হবে। জিনিসের ওজন ও মূর্তির সাইজ অনুযায়ী মূর্তি তৈরি করা হয়। রোজ এরকম কাজ পাই না। কোনও দিন ২-৩টি, কোনও দিন কোনও কাজই পাই না। শুধু ঠাকুরের মূর্তিই বানাই। অন্য কোনও জিনিস নয়। কালী, দূর্গা, শিব, গণেশ, লক্ষ্মীনারায়ণ, হনুমান সব ঠাকুরের মূর্তিই বানাই। এভাবেই আমার সংসার চলে। হায়দরাবাদ থেকে আসি। ২-৩ মাস কাজ করে ফিরে যাই। এভাবেই সংসার চলে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)