Malbazar: অভিনব! শুধু পাহাড় কেন, ডুয়ার্সেও স্বাদু কমলালেবু উৎপাদনের সম্ভাবনা প্রবল...
Orange in Dooars Malbazar: একটু চেষ্টা করলে ডুয়ার্সও যে কমলা চাষের আদর্শ স্থান হতে পারে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমনকি দার্জিলিং ও এখানকার কমলার স্বাদ হুবহু একই।
অরূপ বসাক: সামসিং এলাকায় বেশ ভালই ফল হয়েছে। হিমালয়ের পাদদেশের অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার ভুটান-লাগোয়া ডুয়ার্সের অন্য এলাকাতেও যে জন্মাতে পারে কমলালেবু, সেই ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছিল লুকসানকে দিয়েই। এবারে ওই অনুমান আরও পোক্ত হল। সেখানে টিকারাম ছেত্রী নামে এক শিক্ষকের বাড়ির কয়েকটি গাছ ভরে ফল এসেছে। ইতিমধ্যেই রঙ-ও ধরতে শুরু করেছে কমলায়। কৌতূহলী জনতার কি আর তর সয়? আধ পাকা ফলই চেখে দেখতে শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: New Cyclonic Storm: 'ডানা'র পরেও রেহাই নেই! পরবর্তী ঝড়ের ভয়ংকর খবর দিল মৌসম ভবন...
উদ্যান পালন দফতরের জলপাইগুড়ির উপ-নির্দেশক ড. অলোককুমার মণ্ডল বলেন, সামসিংয়ের অপেক্ষাকৃত পাহাড়ি ঢাল কিংবা ডুয়ার্স এলাকার মাটিতে খুব একটা পার্থক্য কিছু নেই। সেকারণেই লুকসানে এমন ফলন এসেছে। এগুলি দার্জিলিং ম্যান্ডারিন প্রজাতির কমলা। একটু চেষ্টা করলে ডুয়ার্সও যে কমলা চাষের আদর্শ স্থান হতে পারে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এমনকি দার্জিলিং ও এখানকার কমলার স্বাদ হুবহু একই।
পরিবেশপ্রেমী এবং বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু লুকসানই নয়। মালবাজার, মেটেলি, নাগরাকাটা, বানারহাটের নানা এলাকাও কমলা চাষের উপযুক্ত। লাগোয়া সামসিংকে দিয়েই তা প্রমাণিত। সেখানে উদ্যান পালন দফতরের ৪ হেক্টরের একটি কমলা বাগান রয়েছে। বর্তমানে লিজ নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি সেখানে কমলা চাষ করেছেন। গত বছর ওই বাগান থেকে ৪ লক্ষ টাকার কমলা মিলেছিল।
টিকারামের বাড়ির গাছে প্রথমবারে জন্য হাতে গোনা কয়েকটি ফল এসেছিল গত বছর। মিষ্টত্বও আহামরি কিছু ছিল না সেবার। এবারে কিন্তু ফলন প্রচুর। পরিবারটি ভেবেছিল সম্ভবত এবারও কমলাগুলির স্বাদ ভাল হবে না। তবে দ্রুত তাঁদের সেই ভুল ভেঙে যায়। এখনই পেড়ে খাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে সেগুলি অত্যন্ত সুস্বাদু। জনপ্রিয় ভুটান বা দার্জিলিংয়ের আসল প্রজাতির সঙ্গে কোনও পার্থক্য নেই। টিকারাম বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের, গাছ দুটি নিজে থেকেই জন্মে নেয়। যত্নআত্তি বলতে কিছুই করিনি। তাতেই এই ফল। কেউ যদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষে নামেন তবে আমার অভিজ্ঞতা বলছে, তিনি অবশ্যই সফল হবেন।