নিজস্ব প্রতিবেদন: স্কুটি  চুরি যাওয়ার তদন্তে নেমে  পুলিসের হাতে চলে এল আন্তঃরাজ্য বাইক পাচার চক্রের ২ পান্ডা। উদ্ধার হল ১৮টি বাইক ও ২০টি সাইকেল। জলপাইগুড়ির  রাজগঞ্জের ঘটনা। গ্রেফতার ২ কুখ্যাত বাইক পাচারকারী রতন ও ভোলা। সামনে মোবাইলের দোকান। পেছনে চোরাই বাইকের গোডাউন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কাক পক্ষীটিও টের পাচ্ছিল না। আমবাড়ি বাজারে মোবাইলের দোকানের আড়ালে দিব্যি চলছিল চোরাই বাইকের কারবার। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ থানা এলাকা থেকে চুরি হয় একটি স্কুটি। তার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে রাজগঞ্জ থানার ওসি তমাল দাস জানতে পারেন একটি বড়সড় আন্তরাজ্য বাইক পাচার চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এরা ভুয়ো কাগজ বানিয়ে চোরাই বাইক বিক্রি করে।


ক্রেতা সেজে বাইক কেনার টোপ দেয় পুলিশ। সেই টোপ গিলে বাইক নিয়ে ৩১ নং জাতীয় সড়কের করতোয়া এলাকায় হাজির হয় রাজগঞ্জ এর আমপাকড়ি এলাকার বাসিন্দা রতন শীল।  রতনকে গ্রেফতার করে পুলিশ জানতে পারে এনজেপি থানা এলাকার বাসিন্দা ভোলা রায় এই চোরাই বাইক কারবারের মাথা। এরপরে রতনকে সঙ্গে নিয়ে ভোলা রায় এর আমবাড়ি বাজারের মোবাইলের দোকানে হানা দিয়ে দোকান সংলগ্ন গোডাউন ও আরও অন্যান্য জায়গা থেকে ১৬টি মোটর বাইক, ২টি স্কুটি ও ২০ টি সাইকেল উদ্ধার হয়।


আরও পড়ুন-ব্যবধান বাড়িয়ে উলুবেড়িয়া ধরে রাখল তৃণমূল, তিনে নামল সিপিএম


জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে আমাদের ওসি রাজগঞ্জ এই বাইক পাচারের চক্রটিকে ধরতে ততপর ছিলেন। অবশেষে গতকাল তা ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ১৮টি বাইক ও ২০টি সাইকেল উদ্ধার হয়। রতন শীল বাইক লিফটার এবং ভোলা রায় মূলত চোরাই বাইক কিনে ভূয়ো কাগজ বানিয়ে বিক্রি করে। এরা আগেও বাইক পাচারের সাথে জড়িত ছিল। এদের একটি বড়সড় চক্র আছে। ধৃতদের রিমান্ডে নিয়ে আমরা খুব তাড়াতাড়ি বাকী পাচারকারী দের ধরতে সক্ষম হব।’