নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরোদমে তৈরি রেল। কিন্তু রাজ্য ? তাই নিয়েই আজকের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। রেল পরিষ্কার ভাবে রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, যা পরিকাঠামো রয়েছে, তা দিয়ে পূর্বের নিয়মে টাইম টেবিল মেনে সমস্ত ট্রেন চালাতে প্রস্তুত পূর্বরেল। কিন্তু ভিড় সামাল দিতে কি পারবে রাজ্য? কোন কোন স্টেশনে পুলিসি ব্যবস্থা রাখতে পারবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেলেই আজকের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কবে থেকে কটি ট্রেন চলবে এবং কোথায় কোথায় থামবে?  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভিড় সামলানোই আসল চ্যালেঞ্জ লোকাল ট্রেনে। বুধবার রেল রাজ্য বৈঠকে ঠিক হয় ১০ নয়, সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত রোজ  ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ চলবে স্টাফ ট্রেন। 


রেলের যুক্তি সব স্টেশনে দেওয়ার মত আর পি এফ নেই তাদের। যেমন পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের ৯৭ টি স্টেশন দিয়ে লোকাল ট্রেন যাওয়া আসা করে। যার মধ্যে মাত্র ১৩ টিতে রয়েছে আরপিএফ।  অন্যদিকে, শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায় ১৭৫টি স্টেশনের মধ্যে ৫০ টির কম স্টেশনে রয়েছে রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী। কতগুলি স্টেশনে যাত্রীদের সামাল দিতে পুলিসি সাহায্য দিতে পারবে রাজ্য? তাই নিয়েই আজকের চূড়ান্ত বৈঠক।  শুধু তাই নয়, যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার পর যাতে দ্রুত যানবাহন পায় সে দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।


৬০০ যাত্রী নিয়ে গড়াবে লোকাল ট্রেনের চাকা। কাজেই স্টেশনে যাত্রীর প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যাত্রীদের সঙ্গে রেল পুলিসের বচসার সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে। তাই রাজ্যের কাছে পুলিসি সহায়তা চেয়েছে রেল। যতগুলি স্টেশনে এই সাহায্য রাজ্য দিতে পারবে, সেখানেই লোকাল ট্রেন থামবে। এছাড়া, সমস্ত স্টেশেনে ট্রেন থামাতে অসুবিধা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 


আজকের বৈঠকে রাজ্য রেলকে জানাবে তারা কোন কোন স্টেশনে পুলিসি সাহায্য দিতে পারবে। রেল জানিয়েছে, আগের নিয়মেই টিকিটের বুকিং কাউন্টার থেকেই টিকিট কাটা যাবে।